০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবক গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৩৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো: হৃদয় হোসেন নামে ২৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হৃদয় ওই এলাকার আজিজ খাঁ’র ছেলে।

এদিকে নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

আদালতে দাখিলকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া আসার সময় আসামী হৃদয় রাস্তাঘাটে ভিকটিমকে প্রায়ই উত্যক্ত করিতো। এতে কোন সাড়া না পাওয়ায় ১৩ই মার্চ রাতে ওই স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে টয়লেট এ যাওয়ার সময় আগে থেকে উৎ পেতে থাকা আসামী হৃদয় ওই স্কুলছাত্রীর মুখমন্ডলে চেতনানাশক মেডিসিন মিশ্রিত পানি ছিটাইয়া তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গেলে ১৯ মার্চ তাকে নিয়ে হৃদয় বাড়ি আসে। পরে হৃদয়ের ভাই ওই স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেন।

মামলার বাদী স্কুলছাত্রীর বড় ভাই বলেন, হৃদয় আমার বোনকে ফেরত দেওয়ার পর প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। বিষয়টি শিবালয় থানা পুলিশে জানানো হলে তারা কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে কোর্টে মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।

ভিকটিমের মা বলেন, ৫ মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। ওদের বাবা মারা গেছে বহু আগে। অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হয়। ওই মেয়েটা সবার ছোট। আমার ছেলে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে বি.বি.এ পড়ে। এর পাশাপাশি একটি এনজিও’তে চাকুরী করে। ওই টাকায় সংসার চলে। কিন্তু এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে গেলো। ঢাকা নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করার মতো কোন টাকাও নেই। তার মেয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তির সর্ব্বোচ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সুজন হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়ে ২৩ই মার্চ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মিস পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে অভিযোগটি এফ.আই.আর করার নির্দেশ দেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী হৃদয়কে গ্রেফতার করে। এতে করে ভিকটিম ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয় এবং সেই সঙ্গে ভিকটিমের পক্ষে বিনা খরচে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ওই আইনজীবী।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, আদালতের নিদের্শে এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ভিকটিমকে ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করেছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওই আইনজীবী ।

Tag :
About Author Information

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কেঁদেছেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতি

মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবক গ্রেফতার

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৩৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো: হৃদয় হোসেন নামে ২৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হৃদয় ওই এলাকার আজিজ খাঁ’র ছেলে।

এদিকে নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

আদালতে দাখিলকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া আসার সময় আসামী হৃদয় রাস্তাঘাটে ভিকটিমকে প্রায়ই উত্যক্ত করিতো। এতে কোন সাড়া না পাওয়ায় ১৩ই মার্চ রাতে ওই স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে টয়লেট এ যাওয়ার সময় আগে থেকে উৎ পেতে থাকা আসামী হৃদয় ওই স্কুলছাত্রীর মুখমন্ডলে চেতনানাশক মেডিসিন মিশ্রিত পানি ছিটাইয়া তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গেলে ১৯ মার্চ তাকে নিয়ে হৃদয় বাড়ি আসে। পরে হৃদয়ের ভাই ওই স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেন।

মামলার বাদী স্কুলছাত্রীর বড় ভাই বলেন, হৃদয় আমার বোনকে ফেরত দেওয়ার পর প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। বিষয়টি শিবালয় থানা পুলিশে জানানো হলে তারা কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে কোর্টে মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।

ভিকটিমের মা বলেন, ৫ মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। ওদের বাবা মারা গেছে বহু আগে। অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হয়। ওই মেয়েটা সবার ছোট। আমার ছেলে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে বি.বি.এ পড়ে। এর পাশাপাশি একটি এনজিও’তে চাকুরী করে। ওই টাকায় সংসার চলে। কিন্তু এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে গেলো। ঢাকা নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করার মতো কোন টাকাও নেই। তার মেয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তির সর্ব্বোচ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সুজন হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়ে ২৩ই মার্চ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মিস পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে অভিযোগটি এফ.আই.আর করার নির্দেশ দেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী হৃদয়কে গ্রেফতার করে। এতে করে ভিকটিম ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয় এবং সেই সঙ্গে ভিকটিমের পক্ষে বিনা খরচে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ওই আইনজীবী।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, আদালতের নিদের্শে এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ভিকটিমকে ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করেছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওই আইনজীবী ।

404 Not Found

404

Not Found

The resource requested could not be found on this server!


Proudly powered by LiteSpeed Web Server

Please be advised that LiteSpeed Technologies Inc. is not a web hosting company and, as such, has no control over content found on this site.