
লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জমির দলিল রেজিস্ট্রির কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে একদিকে যেমন জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়ছেন, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
কালীগঞ্জ উপজেলা তুষভান্ডার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুই শত জমির দলিল রেজিস্ট্রি হয়, যা থেকে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পায়।
প্রতি লাখ টাকার রেজিস্ট্রিতে ৪ টি স্তরে চারটি স্তরে থানা পর্যায়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে সরকার পেয়ে থাকে।
তবে কর্মদিবস নির্ধারণ থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার সপ্তাহে এক-দিন অফিস করেন, ফলে কাজের চাপ বেড়ে যায় ও জটিলতা তৈরি হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আট ইউনিয়ন থেকে মানুষ দলিল রেজিস্ট্রির জন্য আসছেন, কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার উপস্থিত না থাকায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকি রাত ১০টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয় দলিল সম্পন্ন করার আশায়।
স্থানীয় কৃষক শফিকুল মিয়া বলেন, কয়েকবার তারিখ ঠিক হওয়ার পরেও সাব-রেজিস্ট্রার আসেননি। আবার আসতে হয়েছে।” দলিল লেখকরা জানান, ব্যাংক ড্রাফট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতেই পুরো দিন কেটে যায়। এরপরও সাব-রেজিস্ট্রার না আসলে পুরো প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।
বর্তমানে পার্শ্ববর্তী হাতিবান্ধা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আরিফ ইশতিয়াক অতিরিক্ত দায়িত্বে-লালমনিরহাট সদর- তুষভান্ডার-ও হাতিবান্ধা কাজ করছেন। এতে তিন উপজেলার কাজ একসাথে সামলাতে গিয়ে তিনি সময়মতো অফিসে উপস্থিত হতে পারছেন না। এ অবস্থায় নকল নবিশ ও ৪০ জন দলিল লেখক ৮৭ জন পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা দ্রুত স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রারের দাবি জানিয়েছেন।