
মানিকগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমার ইন্ডাস্ট্রির গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। ওই সময় এনএসআই- এর ডিজির তরফ থেকে আমাকে দুই দিনের সময় দেয়া হয়েছিল।
আওয়ামী লীগে ভেড়ানোর জন্য আমাকে অনেক চাপ দেওয়া হয়। আমাকে বলেছিল- মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য দুর্যয়ের জায়গায় আপনি নির্বাচন করেন। এমপি বা মন্ত্রীত্ব যেটাই লাগুক আপনাকে দেয়া হবে। কিন্তু আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শিক রাজনীতির দর্শন থেকে বিচ্যুত হয়নি। কারণ জিয়া পরিবারের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।
আফরোজা খান রিতা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দল পরিবর্তনের জন্য আমাকে দুই দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি সকল চাপ উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটুট ছিলাম। পরে এনএসআই ডিজি আমাকে বলে- আপনাকে পস্তাতে হবে, তখন আমি বলেছিলাম আমার ভাগ্যে যদি পস্তানো লেখা থাকে তাহলে আমি পস্তাবো। কিন্তু বিএনপি ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিব না। কারণ যেই মুখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রশংসা করেছি ওই মুখে তো আমি অন্য নেতার গুনোগান গাইতে পারবো না। হাজারো চাপ উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছি। কারণ এই নেতাকর্মীরাই আমার সব, আমি তাদেরকে নিয়েই মানিকগঞ্জকে একটি আধুনিক জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
জেলা বিএনপির আহবায়ক বলেন, আজকে দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়েছে। পূর্বের মতো আমাদের সামনের দিনগুলোতেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারুণ্যের প্রতীক বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আমাদের কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন ধরনের ভেদাভেদ বা গ্রুপিং করা যাবে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র প্রতীক ধানের শীষকে ক্ষমতায় আনতে হলে আমাদের সুসংগঠিত ভাবে কাজ করার কোন বিকল্প নেই।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আজাদ হোসেন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আ. ফ. ম. নুরতাজ আলম বাহার, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম আবেদীন কায়সার, রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া হাবুসহ সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির নেতৃবৃন্দ।