
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীতে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে ফসলি জমিসহ নদীর আশপাশের বসত ভিটা বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নদীর ক্রমাগত ভাঙ্গনের ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের আশ্রয়স্থল হারাচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ, প্রতিবাদ, মানববন্ধন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। এতে ফুঁসে ওঠছে এলাকার সর্বশান্ত জনসাধারণ।
গত রবিবার (২৬ আগষ্ট ) দুপুরে দৌলতপুরের মুন্সিকান্দি পাচুরিয়া গিয়ে দেখা যায় বড় সাইজের কার্টার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তলন করা হচ্ছে। এছাড়া একেক সময় একেক জায়গা থেকে এভাবে বালু উত্তলন করা হয়। এর ফলে দৌলতপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মুন্সকান্দি, পরুরিয়া, ইসলামপুর, পারুলিয়া, বাঘুটিয়া বাজারসহ প্রায় ১৫ থকে ২০টি গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে।
যানা যায়, সরকারিভাবে বালুমহল ঘোষনা করা হয়েছে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রাহাতপুর মৌজা এবং সে অনুযায়ী সরকারিভাবে জৈনেক এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ঐ মৌজাকে ইজারা দেয়া হয়েছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আইন মেনে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও পেশীশক্তি পদর্শন করে অবৈধ ভাবে অন্য মৌজায় জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে ব্যাপক ভাংগনের সম্মুখিন হচ্ছে নদী পার্শ্ববর্তী তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম। বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সহ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী দাবি, সরকার যে মৌজাকে বালুমহল ঘোষণা করেছে সেখানেই যেন বালু উত্তোলন করা হয়। অন্যথায় এলাকাবাসী মিলে বালুখেকো এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রতিহত করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন পরিস্থিতিতে মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়ে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী। এতে এসব অঞ্চল জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে আসছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডিসি মহাদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী। কিন্তু এতেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।