সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের বারোদা গ্রামে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মৃত গফুর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার (৪৮) একই গ্রামের কিশোরী মুক্তা পারভীনকে (১৭) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামবাসীর তীব্র চাপের মুখে সাইফুল অবশেষে সাতক্ষীরার আদালতে কোড ম্যারেজ করতে বাধ্য হন।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ভুক্তভোগী তরুণী স্বামী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মুক্তা পারভীন জানান, “সমাজে যেভাবে একটি মেয়েকে বিয়ের পর স্বামী সংসার ও সন্তানদের নিয়ে সুন্দরভাবে রাখে, সেটাই আমার দাবি। কিন্তু সাইফুল ইসলাম আমাকে সেই অধিকার দিচ্ছে না।”স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সাইফুল নানা কৌশলে মুক্তাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন। ঘটনাটি প্রকাশ হলে গ্রামবাসী তাকে কোড ম্যারেজে বাধ্য করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তিনি স্ত্রী ও দেড় মাসের সন্তানকে ভরণপোষণ দিচ্ছেন না, এমনকি মানসিক সহায়তাও প্রদান করছেন না। এর ফলে মুক্তা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছেন।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, মুক্তার সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। পরে এলাকাবাসীর চাপে তিনি কোড ম্যারেজ করতে বাধ্য হন।এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এখনো তিনি এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে সাইফুল দায় এড়াতে চাইছেন। তারা প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এ ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, পুরো সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তারা মুক্তা পারভীনের ন্যায়বিচারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho