০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জকসু ও সম্পূরক ভাতাসহ ৩ দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিন অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

 

জবিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে বসেছেন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে তা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা করা।
২. দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৩. ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এ. কে. এম. রাকিব বলেন, “আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। প্রশাসনকে লিখিতভাবে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে দায়ভার নিয়ে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় এখনই পদত্যাগ করা উচিত।”

অন্যদিকে, গণসংসদের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “এবার কোনো আশ্বাসে অনশন বন্ধ করব না। প্রয়োজনে লাশ হয়ে বের হব। আর আমার মৃত্যুর পর দাবি পূরণের আগে যেন জানাজা সম্পন্ন না হয়।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “আমার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমি কোনো কমিটিতে নেই। তোমরা আন্দোলন করছ, আমি শুধু আলোচনার জন্য এসেছি।”

তবে শিক্ষার্থীরা তার এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনি আন্দোলনের জন্য এসেছেন, আমাদের জন্য আসেননি। দাবি পূরণ না হলে জবি থাকবে না।”

অনশনকারীরা জানিয়েছেন, লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া তারা কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ডা: শহিদুল আলমকে মনোনয়ন প্রদানের দাবিতে কালিগঞ্জের তারালী ও চাম্পাফুলে বিক্ষোভ সমাবেশ

জকসু ও সম্পূরক ভাতাসহ ৩ দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিন অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

জবিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে বসেছেন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে তা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা করা।
২. দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৩. ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এ. কে. এম. রাকিব বলেন, “আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। প্রশাসনকে লিখিতভাবে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে দায়ভার নিয়ে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় এখনই পদত্যাগ করা উচিত।”

অন্যদিকে, গণসংসদের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “এবার কোনো আশ্বাসে অনশন বন্ধ করব না। প্রয়োজনে লাশ হয়ে বের হব। আর আমার মৃত্যুর পর দাবি পূরণের আগে যেন জানাজা সম্পন্ন না হয়।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “আমার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমি কোনো কমিটিতে নেই। তোমরা আন্দোলন করছ, আমি শুধু আলোচনার জন্য এসেছি।”

তবে শিক্ষার্থীরা তার এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনি আন্দোলনের জন্য এসেছেন, আমাদের জন্য আসেননি। দাবি পূরণ না হলে জবি থাকবে না।”

অনশনকারীরা জানিয়েছেন, লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া তারা কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না।