১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষের টাকাসহ আটক রাজস্ব কর্মকর্তাকে ছেড়ে দিয়ে’ এনজিও কর্মীকে থানায় সোপর্দ

 

যশোরঃ যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অভিযানে ঘুষের ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও এনজিও সদস্য হাসিবুরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে যশোর দুর্নীতি দমন দুদকের কর্মকর্তারা।

পরে তাদেরকে কাস্টমস কমিশনার এর রুমে নিয়ে ৪ ঘন্টা বৈঠক শেষে রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে বাদ দিয়ে শুধ মাত্র এনজিও কর্মী হাসিবুরকে আটক দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘ চার ঘন্টা কাস্টম হাউসের একটি রুমে বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৮ টার সময় দুদক কর্মকর্তারা চলে যান।

যশোর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দীন আহমেদ এর নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম হঠাৎ বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রবেশ করে রাজস্ব শাখা, মূল্যায়ন শাখা ও প্রশাসনিক দপ্তরসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়। এ সময় ঘুষ লেনদেনের নগদ ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার এবং তার সহযোগী স্থানীয় একটি এনজিওর সদস্য হাসিবুর।

দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল, কাস্টমস হাউসে ঘুষ বানিজ্য চলছে এবং মোটা অংকের টাকা লেনদেন হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা অভিযান চালাই। আমরা কাস্টমস গেটে টাকাসহ এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানকে আটক করি। টাকা কার জানতে চাইলে তিনি বলেন এ টাকা রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার ম্যাডামের। পরে কাস্টমস হাউসে সুপার শামীমার কাছে গেলে সে তার টাকা বলে শিকার করে। এরপর কাস্টমস কমিশনারসহ অন্যান্য অফিসারদের সাথে বৈঠক শেষে এনজিও কর্মী হাসিবকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এবং শামীমাকে ছেড়ে দেন দুদক কর্মকর্তারা।

ঘুষের টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুইজন আটকের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কাস্টমস কমিশনারের অফিস রুমে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দিয়ে ৪ ঘন্টা বসিয়ে রাখে ব্রিফিংএর জন্য। পরবর্তীতে গণমাধ্যম কর্মীদের কোন তথ্য না দিয়েই দুদক কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি করে চলে যায়। এসময় দুদকের জনৈক একজন স্টাফ গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারণ করেন। তারপর গণমাধ্যম কর্মীরা দুদকের আচারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

Tag :
About Author Information

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কেঁদেছেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতি

ঘুষের টাকাসহ আটক রাজস্ব কর্মকর্তাকে ছেড়ে দিয়ে’ এনজিও কর্মীকে থানায় সোপর্দ

প্রকাশের সময়ঃ ১১:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

 

যশোরঃ যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অভিযানে ঘুষের ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও এনজিও সদস্য হাসিবুরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে যশোর দুর্নীতি দমন দুদকের কর্মকর্তারা।

পরে তাদেরকে কাস্টমস কমিশনার এর রুমে নিয়ে ৪ ঘন্টা বৈঠক শেষে রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে বাদ দিয়ে শুধ মাত্র এনজিও কর্মী হাসিবুরকে আটক দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘ চার ঘন্টা কাস্টম হাউসের একটি রুমে বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৮ টার সময় দুদক কর্মকর্তারা চলে যান।

যশোর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দীন আহমেদ এর নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম হঠাৎ বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রবেশ করে রাজস্ব শাখা, মূল্যায়ন শাখা ও প্রশাসনিক দপ্তরসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়। এ সময় ঘুষ লেনদেনের নগদ ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার এবং তার সহযোগী স্থানীয় একটি এনজিওর সদস্য হাসিবুর।

দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল, কাস্টমস হাউসে ঘুষ বানিজ্য চলছে এবং মোটা অংকের টাকা লেনদেন হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা অভিযান চালাই। আমরা কাস্টমস গেটে টাকাসহ এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানকে আটক করি। টাকা কার জানতে চাইলে তিনি বলেন এ টাকা রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার ম্যাডামের। পরে কাস্টমস হাউসে সুপার শামীমার কাছে গেলে সে তার টাকা বলে শিকার করে। এরপর কাস্টমস কমিশনারসহ অন্যান্য অফিসারদের সাথে বৈঠক শেষে এনজিও কর্মী হাসিবকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এবং শামীমাকে ছেড়ে দেন দুদক কর্মকর্তারা।

ঘুষের টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুইজন আটকের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কাস্টমস কমিশনারের অফিস রুমে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দিয়ে ৪ ঘন্টা বসিয়ে রাখে ব্রিফিংএর জন্য। পরবর্তীতে গণমাধ্যম কর্মীদের কোন তথ্য না দিয়েই দুদক কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি করে চলে যায়। এসময় দুদকের জনৈক একজন স্টাফ গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারণ করেন। তারপর গণমাধ্যম কর্মীরা দুদকের আচারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

404 Not Found

404

Not Found

The resource requested could not be found on this server!


Proudly powered by LiteSpeed Web Server

Please be advised that LiteSpeed Technologies Inc. is not a web hosting company and, as such, has no control over content found on this site.