০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেলেন তিন গবেষক

  • ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৫:২১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

 

ঢাকাঃ “মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস” উদ্ভাবনের জন্য ২০২৫ সালে রসায়নে যৌথভাবে তিন গবেষককে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

এই তিন গবেষকের মধ্যে জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, ব্রিটেনের রিচার্ড রোবসন এবং জর্ডানের ওমর ইয়াঘি।

বুধবার সুইডেনের স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি জানিয়েছে এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

“মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস-এর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ নতুন কার্যকারিতা সহ কাস্টম-মেড উপকরণ তৈরির পূর্বে অচিন্ত্যনীয় সুযোগ এনে দিয়েছে,” বলেছেন নোবেল কমিটির চেয়ার হেইনার লিঙ্কে।

কমিটি এই বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছে এমন আণবিক গঠন তৈরির জন্য যেগুলোর মধ্যে বড় বড় ফাঁকা স্থান থাকে, যার মধ্য দিয়ে গ্যাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক প্রবাহিত হতে পারে।

“এই গঠনগুলো—মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস—ব্যবহার করা যায় মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহে, কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরতে, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণে কিংবা রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য অনুঘটক হিসেবে,” বলা হয়েছে কমিটির বিবৃতিতে।

গত বছর এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল তিনজন বিজ্ঞানীকে, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে প্রায় সব পরিচিত প্রোটিনের গঠনভিত্তিক কোড “ভাঙতে” সক্ষম হন—যা জীবনের “রাসায়নিক যন্ত্র” হিসেবে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গুগল ডীপমাইন্ড-এর সিইও ডেমিস হাসাবিস, যাঁর কাজের মাধ্যমে এমন একটি AI মডেল তৈরি হয়েছিল যা জটিল প্রোটিন গঠন পূর্বাভাস দিতে পারে—এটি একটি ৫০ বছরের পুরোনো অসমাধান সমস্যা ছিল।

Tag :
About Author Information

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কেঁদেছেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতি

রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেলেন তিন গবেষক

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:২১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

 

ঢাকাঃ “মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস” উদ্ভাবনের জন্য ২০২৫ সালে রসায়নে যৌথভাবে তিন গবেষককে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

এই তিন গবেষকের মধ্যে জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, ব্রিটেনের রিচার্ড রোবসন এবং জর্ডানের ওমর ইয়াঘি।

বুধবার সুইডেনের স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি জানিয়েছে এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

“মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস-এর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ নতুন কার্যকারিতা সহ কাস্টম-মেড উপকরণ তৈরির পূর্বে অচিন্ত্যনীয় সুযোগ এনে দিয়েছে,” বলেছেন নোবেল কমিটির চেয়ার হেইনার লিঙ্কে।

কমিটি এই বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছে এমন আণবিক গঠন তৈরির জন্য যেগুলোর মধ্যে বড় বড় ফাঁকা স্থান থাকে, যার মধ্য দিয়ে গ্যাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক প্রবাহিত হতে পারে।

“এই গঠনগুলো—মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস—ব্যবহার করা যায় মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহে, কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরতে, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণে কিংবা রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য অনুঘটক হিসেবে,” বলা হয়েছে কমিটির বিবৃতিতে।

গত বছর এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল তিনজন বিজ্ঞানীকে, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে প্রায় সব পরিচিত প্রোটিনের গঠনভিত্তিক কোড “ভাঙতে” সক্ষম হন—যা জীবনের “রাসায়নিক যন্ত্র” হিসেবে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গুগল ডীপমাইন্ড-এর সিইও ডেমিস হাসাবিস, যাঁর কাজের মাধ্যমে এমন একটি AI মডেল তৈরি হয়েছিল যা জটিল প্রোটিন গঠন পূর্বাভাস দিতে পারে—এটি একটি ৫০ বছরের পুরোনো অসমাধান সমস্যা ছিল।