১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ার নিউ পপুলার হসপিটালে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৯:০২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারের আশুলিয়ায় এক হাসপাতালে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর উত্তেজিত স্বজনরা চিকিৎসককে আটক করে রাখে।

রোববার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার কোনাপাড়া কলাবাগান এলাকার নিউ পপুলার হসপিটালে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। এদিন দুপুরে ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পারভিন আক্তার রাজবাড়ি সদরের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, এর আগেও দুবার অপারেশন করা হয়েছে। নিহত পারভিনের এটা তিন নাম্বার অপারেশন। আজ অপারেশনে একটি কন্য সন্তান হয়েছে তার। বাসার কাছে হওয়ায় এই হাসপাতালে অপারেশন করাতে নিয়ে আসি। কিন্তু ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করে পারভিনকে মেরে ফেলল। এসময় স্বজনরা এর বিচার চান।

এদিকে, মৃত্যুর পরেও স্বজনদের বিষয়টি না জানিয়ে ডাক্তারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ও নিহতের স্বজনরা ডাক্তারকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

অভিযুক্ত ডা: আতিকুর রহমান এব্যাপারে জানান, তিনি এর আগে অনেক সিজারিয়ান অপারেশন করিয়েছেন। কিন্তু এই রোগীর ক্ষেত্রে তার পেটেই অপারেশনের আগে থেকেই রক্তক্ষরণ হয় এবং যার ফলে তিনি স্ট্রোক করে পরবর্তীতে মারা যান। অপারেশনে কোন ভুল ছিল না বলেও দাবী করেন তিনি।

তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন নাম্বার  ২৭৮২০ হলেও ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে অন্য এক ব্যক্তির ছবি ও নাম আসে এবং সেই নাম্বারও ২০০৩ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এসব ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি তার রেজিষ্ট্রেশন নবায়ন করেন না, তাই সেটা বিএমডিসির ওয়েব সাইটে দেখাচ্ছে না।

অভিযুক্ত চিকিৎসক গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকার মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

নিউ পপুলার হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান জানান, উনি ভুয়া ডাক্তার কি না জানা নেই। তবে আমাদের কাছে যারা ডিউটি ডাক্তার আছেন তাদের কাগজপত্র জমা নেয়া হয়, কিন্তু ওনাকে কল করে আনা হয়। তাই ওনার কাগজপত্র নেয়া হয়নি। এখন আইনগতভাবে যা হবার হবে।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, অলরেডি অফিসার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

Tag :
About Author Information

সাভারে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ

আশুলিয়ার নিউ পপুলার হসপিটালে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশের সময়ঃ ০৯:০২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারের আশুলিয়ায় এক হাসপাতালে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর উত্তেজিত স্বজনরা চিকিৎসককে আটক করে রাখে।

রোববার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার কোনাপাড়া কলাবাগান এলাকার নিউ পপুলার হসপিটালে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। এদিন দুপুরে ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পারভিন আক্তার রাজবাড়ি সদরের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, এর আগেও দুবার অপারেশন করা হয়েছে। নিহত পারভিনের এটা তিন নাম্বার অপারেশন। আজ অপারেশনে একটি কন্য সন্তান হয়েছে তার। বাসার কাছে হওয়ায় এই হাসপাতালে অপারেশন করাতে নিয়ে আসি। কিন্তু ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করে পারভিনকে মেরে ফেলল। এসময় স্বজনরা এর বিচার চান।

এদিকে, মৃত্যুর পরেও স্বজনদের বিষয়টি না জানিয়ে ডাক্তারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ও নিহতের স্বজনরা ডাক্তারকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

অভিযুক্ত ডা: আতিকুর রহমান এব্যাপারে জানান, তিনি এর আগে অনেক সিজারিয়ান অপারেশন করিয়েছেন। কিন্তু এই রোগীর ক্ষেত্রে তার পেটেই অপারেশনের আগে থেকেই রক্তক্ষরণ হয় এবং যার ফলে তিনি স্ট্রোক করে পরবর্তীতে মারা যান। অপারেশনে কোন ভুল ছিল না বলেও দাবী করেন তিনি।

তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন নাম্বার  ২৭৮২০ হলেও ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে অন্য এক ব্যক্তির ছবি ও নাম আসে এবং সেই নাম্বারও ২০০৩ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এসব ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি তার রেজিষ্ট্রেশন নবায়ন করেন না, তাই সেটা বিএমডিসির ওয়েব সাইটে দেখাচ্ছে না।

অভিযুক্ত চিকিৎসক গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকার মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

নিউ পপুলার হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান জানান, উনি ভুয়া ডাক্তার কি না জানা নেই। তবে আমাদের কাছে যারা ডিউটি ডাক্তার আছেন তাদের কাগজপত্র জমা নেয়া হয়, কিন্তু ওনাকে কল করে আনা হয়। তাই ওনার কাগজপত্র নেয়া হয়নি। এখন আইনগতভাবে যা হবার হবে।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, অলরেডি অফিসার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।