০৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারহাট্টায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার মারা গেছেন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৪:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
 আফজাল হোসেন বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রথম নির্বাচিত সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি’র নেতৃত্বে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান সহ পুলিশের একটি চৌকশ দল এই বীরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়।
গার্ড অফ অনার শেষে  উপজেলা বরুহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর  জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর দুপুর ১২ ঘটিকায় বরুহাটি গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
 ভাটি নোয়াপাড়া গ্রামের এরশাদ মিয়া বলেন,  বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক আসমা ইউনিয়নের ভাটি নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব তালুকদারের ছেলে। প্রায় ৩৫ বছর আগে তিনি বরুহাটি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে চলে এসেছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক  দীর্ঘ দিন যাবৎ শ্বাসকষ্টে ভূগছিলেন। গত কাল রাত ১১ ঘটিকায়  চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ৪ মেয়ে ও এক ছেলে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শহীদুল হকের ৫ ভাইয়ের মধ্যে এখনও তিন ভাই জীবিত আছে বলে জানান।
বারহাট্টা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ মোহাঃ আব্দুল কাদের জানাযার নামাজে উপস্থিত হয়ে বলেন, সে আমার খুব কাছের লোক ছিল। সে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচিত সাংগঠনিক কমান্ডার । মানুষ মাত্রই ভুল করে, সবাই তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
বারহাট্টা উপজেলা শাখার বিএনপির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বলেন, সে আর আমি একসাথে যুদ্ধ করেছি। আজ তার জানাজা তৈয়ারি হচ্ছে  । এভাবে আমরা সবাই একদিন চলে যাবো। আমি গ্রাম বাসী কে অনুরোধ করছি, সবাই শহীদুল হকের পরিবারটির খুঁজখবর রাখবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক আজাদ বলেন, উনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন। আমি বাড়ি থেকে আসার পথে দেখতাম তিনি তাঁর  বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে থাকতো। আমি প্রায়ই সময় দিতাম।
এছাড়াও জানাযায় বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কাজী আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওসমান গনি, ডেপুটি কমান্ডার আশরাফ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চঞ্চল, মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ আওয়ামী লীগ,বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিগণ  উপস্থিত ছিলেন।
Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা 

বারহাট্টায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার মারা গেছেন

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
 আফজাল হোসেন বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রথম নির্বাচিত সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি’র নেতৃত্বে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান সহ পুলিশের একটি চৌকশ দল এই বীরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়।
গার্ড অফ অনার শেষে  উপজেলা বরুহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর  জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর দুপুর ১২ ঘটিকায় বরুহাটি গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
 ভাটি নোয়াপাড়া গ্রামের এরশাদ মিয়া বলেন,  বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক আসমা ইউনিয়নের ভাটি নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব তালুকদারের ছেলে। প্রায় ৩৫ বছর আগে তিনি বরুহাটি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে চলে এসেছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক  দীর্ঘ দিন যাবৎ শ্বাসকষ্টে ভূগছিলেন। গত কাল রাত ১১ ঘটিকায়  চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ৪ মেয়ে ও এক ছেলে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শহীদুল হকের ৫ ভাইয়ের মধ্যে এখনও তিন ভাই জীবিত আছে বলে জানান।
বারহাট্টা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ মোহাঃ আব্দুল কাদের জানাযার নামাজে উপস্থিত হয়ে বলেন, সে আমার খুব কাছের লোক ছিল। সে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচিত সাংগঠনিক কমান্ডার । মানুষ মাত্রই ভুল করে, সবাই তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
বারহাট্টা উপজেলা শাখার বিএনপির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বলেন, সে আর আমি একসাথে যুদ্ধ করেছি। আজ তার জানাজা তৈয়ারি হচ্ছে  । এভাবে আমরা সবাই একদিন চলে যাবো। আমি গ্রাম বাসী কে অনুরোধ করছি, সবাই শহীদুল হকের পরিবারটির খুঁজখবর রাখবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক আজাদ বলেন, উনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন। আমি বাড়ি থেকে আসার পথে দেখতাম তিনি তাঁর  বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে থাকতো। আমি প্রায়ই সময় দিতাম।
এছাড়াও জানাযায় বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কাজী আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওসমান গনি, ডেপুটি কমান্ডার আশরাফ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চঞ্চল, মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ আওয়ামী লীগ,বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিগণ  উপস্থিত ছিলেন।