০৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়ের সাথে চেহারার মিল না হওয়ায় স্ত্রীকে সন্দেহ, ডিএনএ পরীক্ষায় যা জানা গেল

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০২:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মেয়ের সাথে বাবা-মায়ের মুখের কোনও মিলই নেই । বিষয়টি নজরে পড়তেই ডিএনএ পরীক্ষা করান যুবক। তার সন্দেহই সত্য প্রমাণিত হয়। তিনি জানতে পারেন যে, ওই মেয়ে তার নিজের সন্তান নয়। স্ত্রীর প্রতি পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।

ঘটনাটি ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির। সেখানে বহু বছর ধরে স্ত্রী হং এবং মেয়ে ল্যানের সঙ্গে থাকতেন জ্যাক (নাম পরিবর্তিত)। ল্যানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখমুখ দেখে অবাক হয়ে যেতে শুরু করেন জ্যাক। জ্যাক অথবা হ‌ং— কারও সঙ্গেই চেহারাগত মিল নেই ল্যানের।

সন্দেহ দূর করতে ল্যানের ডিএনএ পরীক্ষা করান জ্যাক। তার সন্দেহই যেন সত্যি হয়ে যায়। ল্যান তার নিজের সন্তান নয়, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল থেকে তা জানতে পারেন জ্যাক। তার পর থেকেই হং এবং ল্যানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি। হং যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ল্যান যে সেই তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান— এমন দাবি করেন জ্যাক। হ‌ংয়ের কথাও বিশ্বাস করতে চাননি তিনি।

এরপর অধিকাংশ সময় মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন তিনি। এমনকি স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। সংসারে চিড় ধরে যাওয়ায় ল্যানকে নিয়ে হানোইয়ে চলে যান হ‌ং। সেখানে গিয়ে নতুন স্কুলে ভর্তি করানো হয় ল্যানকে। নতুন স্কুলে গিয়েই রহস্যের উন্মোচন হয় ল্যানের। ল্যানের সঙ্গে তার সহপাঠীর ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়।

তার জন্মদিনের পার্টিতে সহপাঠীর বাড়িতে যায় ল্যান। ল্যানের বান্ধবীর মা ল্যানকে দেখে চমকে যান। ল্যান যে তার মতোই দেখতে। দুই পরিবারের সহমতে আবার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। জানা যায় যে, হং নন, ল্যানের মা আসলে তার বান্ধবীর মা। হাসপাতালে কোনওভাবে সন্তান বদল হয়ে যায় তাদের।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ৭

মেয়ের সাথে চেহারার মিল না হওয়ায় স্ত্রীকে সন্দেহ, ডিএনএ পরীক্ষায় যা জানা গেল

প্রকাশের সময়ঃ ০২:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মেয়ের সাথে বাবা-মায়ের মুখের কোনও মিলই নেই । বিষয়টি নজরে পড়তেই ডিএনএ পরীক্ষা করান যুবক। তার সন্দেহই সত্য প্রমাণিত হয়। তিনি জানতে পারেন যে, ওই মেয়ে তার নিজের সন্তান নয়। স্ত্রীর প্রতি পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।

ঘটনাটি ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির। সেখানে বহু বছর ধরে স্ত্রী হং এবং মেয়ে ল্যানের সঙ্গে থাকতেন জ্যাক (নাম পরিবর্তিত)। ল্যানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখমুখ দেখে অবাক হয়ে যেতে শুরু করেন জ্যাক। জ্যাক অথবা হ‌ং— কারও সঙ্গেই চেহারাগত মিল নেই ল্যানের।

সন্দেহ দূর করতে ল্যানের ডিএনএ পরীক্ষা করান জ্যাক। তার সন্দেহই যেন সত্যি হয়ে যায়। ল্যান তার নিজের সন্তান নয়, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল থেকে তা জানতে পারেন জ্যাক। তার পর থেকেই হং এবং ল্যানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি। হং যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ল্যান যে সেই তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান— এমন দাবি করেন জ্যাক। হ‌ংয়ের কথাও বিশ্বাস করতে চাননি তিনি।

এরপর অধিকাংশ সময় মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন তিনি। এমনকি স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। সংসারে চিড় ধরে যাওয়ায় ল্যানকে নিয়ে হানোইয়ে চলে যান হ‌ং। সেখানে গিয়ে নতুন স্কুলে ভর্তি করানো হয় ল্যানকে। নতুন স্কুলে গিয়েই রহস্যের উন্মোচন হয় ল্যানের। ল্যানের সঙ্গে তার সহপাঠীর ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়।

তার জন্মদিনের পার্টিতে সহপাঠীর বাড়িতে যায় ল্যান। ল্যানের বান্ধবীর মা ল্যানকে দেখে চমকে যান। ল্যান যে তার মতোই দেখতে। দুই পরিবারের সহমতে আবার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। জানা যায় যে, হং নন, ল্যানের মা আসলে তার বান্ধবীর মা। হাসপাতালে কোনওভাবে সন্তান বদল হয়ে যায় তাদের।