১১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজেদের শক্তিমত্তা ভালোভাবেই জানান দিলো নিউজিল্যান্ড। পূর্ণশক্তির পাকিস্তানকে তাদের মাঠেই ফাইনাল হারিয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজ জিতল কিউইরা। টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচ না হারায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুর্দান্ত প্রস্তুতি সেরে নিলো মিচেল স্যান্টনারের দল।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) করাচিতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান।

গ্রুপ পর্বের মতোই ফাইনালের লড়াইয়েও পাকিস্তানকে কোনো পাত্তা না দিয়ে বড় জয় তুলেছে নিউজিল্যান্ড। শিরোপার লড়াইয়ে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা।

ফাইনালে বড় সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নেমে স্বাগতিকরা শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনফর্ম ব্যাটার ফখর জামান (১০) আউট হয়ে যান দলীয় মাত্র ১৬ রানে।

সৌদ শাকিলও ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। সঙ্গীকে হারিয়ে খেই হারিয়ে বসেন ক্রিজে থিতু হতে থাকা বাবর আজম। ওয়ানডেতে যৌথভাবে দ্রুততম ৬০০০ রানের মাইলফলক গড়ার পথে তিনি ৩৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। পাকিস্তান তৃতীয় উইকেট হারায় ৫৪ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ডগড়া জুটিতে জয় নিশ্চিত করা মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং সালমান আলি আগা এদিনও বেধেছেন ৮৮ রানের জুটি। সেটাই মূলত পাকিস্তানকে সম্মানজনক স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। যদিও ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে সেটি যথেষ্ট কি না তা আলোচনাসাপেক্ষ। বিপর্যয় সামলে উঠতে গিয়ে ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান-সালমান। পাকিস্তানি অধিনায়ক ৭৬ বলে ৪৬ এবং সালমান ৬৫ বলে করেন ৪৫ রান।

তাদের বিদায়ের পর তৈয়ব তাহির ৩৩ বলে ৩৮, ফাহিম আশরাফ ২২ এবং নাসিম শাহ’র ১৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষের ৩ বল আগেই পাকিস্তান ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেছেন তরুণ পেসার উইলিয়াম ও’রুর্ক। মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং মিচেল স্যান্টনার দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্যটা বেশি বড় নয়, তবুও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরুটা করে নিউজিল্যান্ড। অবশ্য কারণও আছে, দলীয় ৫ রানেই আউট হয়ে যান ওপেনার উইল ইয়াং। এরপর কেইন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে মিলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। উইলিয়ামসন ৩৪ এবং কনওয়ে ৪৮ রান করে বিদায় নেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। এরপর ৮৭ রানের জুটিতে কিউইদের জয়ের পথটা ক্রমান্বয়ে মসৃণ করেছেন ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম। ফিফটি পেরিয়ে দুজনেই আউট হলেও, ততক্ষণে জয় থেকে অল্প দূরত্বে সফরকারীরা।

মিচেল ৫৭ এবং ল্যাথাম করেন ৫৬ রান। গ্লেন ফিলিপস শেষদিকে ২০ রান করলে ২৮ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন নাসিম শাহ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচার ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপহার বিতরণ করলেন এসএ জিন্নাহ কবির

পাকিস্তানকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড

প্রকাশের সময়ঃ ১১:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজেদের শক্তিমত্তা ভালোভাবেই জানান দিলো নিউজিল্যান্ড। পূর্ণশক্তির পাকিস্তানকে তাদের মাঠেই ফাইনাল হারিয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজ জিতল কিউইরা। টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচ না হারায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুর্দান্ত প্রস্তুতি সেরে নিলো মিচেল স্যান্টনারের দল।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) করাচিতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান।

গ্রুপ পর্বের মতোই ফাইনালের লড়াইয়েও পাকিস্তানকে কোনো পাত্তা না দিয়ে বড় জয় তুলেছে নিউজিল্যান্ড। শিরোপার লড়াইয়ে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা।

ফাইনালে বড় সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নেমে স্বাগতিকরা শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনফর্ম ব্যাটার ফখর জামান (১০) আউট হয়ে যান দলীয় মাত্র ১৬ রানে।

সৌদ শাকিলও ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। সঙ্গীকে হারিয়ে খেই হারিয়ে বসেন ক্রিজে থিতু হতে থাকা বাবর আজম। ওয়ানডেতে যৌথভাবে দ্রুততম ৬০০০ রানের মাইলফলক গড়ার পথে তিনি ৩৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। পাকিস্তান তৃতীয় উইকেট হারায় ৫৪ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ডগড়া জুটিতে জয় নিশ্চিত করা মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং সালমান আলি আগা এদিনও বেধেছেন ৮৮ রানের জুটি। সেটাই মূলত পাকিস্তানকে সম্মানজনক স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। যদিও ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে সেটি যথেষ্ট কি না তা আলোচনাসাপেক্ষ। বিপর্যয় সামলে উঠতে গিয়ে ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান-সালমান। পাকিস্তানি অধিনায়ক ৭৬ বলে ৪৬ এবং সালমান ৬৫ বলে করেন ৪৫ রান।

তাদের বিদায়ের পর তৈয়ব তাহির ৩৩ বলে ৩৮, ফাহিম আশরাফ ২২ এবং নাসিম শাহ’র ১৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষের ৩ বল আগেই পাকিস্তান ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেছেন তরুণ পেসার উইলিয়াম ও’রুর্ক। মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং মিচেল স্যান্টনার দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্যটা বেশি বড় নয়, তবুও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরুটা করে নিউজিল্যান্ড। অবশ্য কারণও আছে, দলীয় ৫ রানেই আউট হয়ে যান ওপেনার উইল ইয়াং। এরপর কেইন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে মিলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। উইলিয়ামসন ৩৪ এবং কনওয়ে ৪৮ রান করে বিদায় নেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। এরপর ৮৭ রানের জুটিতে কিউইদের জয়ের পথটা ক্রমান্বয়ে মসৃণ করেছেন ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম। ফিফটি পেরিয়ে দুজনেই আউট হলেও, ততক্ষণে জয় থেকে অল্প দূরত্বে সফরকারীরা।

মিচেল ৫৭ এবং ল্যাথাম করেন ৫৬ রান। গ্লেন ফিলিপস শেষদিকে ২০ রান করলে ২৮ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন নাসিম শাহ।