০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি ; তারেক রহমান

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

 

সহিদুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা কারও করুনা নয়, এটা দেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্য। অথচ ন্যায্য পানি পাওয়ার জন্যই আন্দোলন করতে হচ্ছে। পানি বণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে। ফারাক্কার পর তিস্তা আরেকটি অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারতের অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণে তিস্তা পাড়ের মানুষ বন্যা, ভাঙনের শিকার।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিবেশী দেশ যদি আমাদের তিস্তা ন্যায্যতা না দেয় তাহলে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদেরটা আমাদের কেই চিন্তা করতে হবে। দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আগস্টে খুনি স্বৈরাচারী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একদিন একটি কথা বলেছিল ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা (ভারত) সারা জীবন মনে রাখবে। তাই এই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে কিছু দেয় নাই শুধু দিয়েছে স্বৈরাচারকে। প্রতিটি দেশেরই তাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বা ঝামেলা থাকে। কিন্তু সেগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হয়৷ যেটা আমাদের এখানে এতদিন হয় নি।

তারেক রহমান বলেন, তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজকে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানি বণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশী মূলক আচরণ করছে। ৫০ বছর যাবৎ ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাই নাই। এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের অপ্রতিবেশী মূলক আচরণের কারণে আজকে তিস্তা পারের লাখ মানুষ বন্যায় এবং খরা জীবন যাপন করছে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার সর্ষের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

দেশের রাজনীতিতে আর স্বৈরাচারের পুনর্বাসন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য আওয়ামী লীগকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্তর্র্বতী সরকারের কোনো হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে পলাতক স্বৈরাচার যেন পুনর্বাসিত না হয়। এ জন্য নির্বাচন বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে তখন এই তিস্তার বিষয়টিকে অগ্রধিকার ভিত্তিতে দেখবে উল্লেখ তারেক রহমান বলেন, পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যে সকল নদী আছে সেগুলোকে আমাদের পুনরায় সংস্কার এবং খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার সেই খাল খানন কর্মসূচি আমাদেরকে পুনরায় হাতে নিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখেছে মানুষের ঐক্যবদ্ধতা। কিভাবে তারা একটি সংকটে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আপনারা যেভাবে বলেছেন জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও। একইভাবে আমাদের বাংলাদেশের সকলকে বলতে হবে জাগো বাহে বাংলাদেশ বাঁচাও।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুরে একযোগে ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি ; তারেক রহমান

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

সহিদুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা কারও করুনা নয়, এটা দেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্য। অথচ ন্যায্য পানি পাওয়ার জন্যই আন্দোলন করতে হচ্ছে। পানি বণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে। ফারাক্কার পর তিস্তা আরেকটি অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারতের অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণে তিস্তা পাড়ের মানুষ বন্যা, ভাঙনের শিকার।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিবেশী দেশ যদি আমাদের তিস্তা ন্যায্যতা না দেয় তাহলে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদেরটা আমাদের কেই চিন্তা করতে হবে। দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আগস্টে খুনি স্বৈরাচারী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একদিন একটি কথা বলেছিল ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা (ভারত) সারা জীবন মনে রাখবে। তাই এই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে কিছু দেয় নাই শুধু দিয়েছে স্বৈরাচারকে। প্রতিটি দেশেরই তাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বা ঝামেলা থাকে। কিন্তু সেগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হয়৷ যেটা আমাদের এখানে এতদিন হয় নি।

তারেক রহমান বলেন, তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজকে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানি বণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশী মূলক আচরণ করছে। ৫০ বছর যাবৎ ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাই নাই। এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের অপ্রতিবেশী মূলক আচরণের কারণে আজকে তিস্তা পারের লাখ মানুষ বন্যায় এবং খরা জীবন যাপন করছে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার সর্ষের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

দেশের রাজনীতিতে আর স্বৈরাচারের পুনর্বাসন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য আওয়ামী লীগকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্তর্র্বতী সরকারের কোনো হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে পলাতক স্বৈরাচার যেন পুনর্বাসিত না হয়। এ জন্য নির্বাচন বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে তখন এই তিস্তার বিষয়টিকে অগ্রধিকার ভিত্তিতে দেখবে উল্লেখ তারেক রহমান বলেন, পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যে সকল নদী আছে সেগুলোকে আমাদের পুনরায় সংস্কার এবং খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার সেই খাল খানন কর্মসূচি আমাদেরকে পুনরায় হাতে নিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখেছে মানুষের ঐক্যবদ্ধতা। কিভাবে তারা একটি সংকটে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আপনারা যেভাবে বলেছেন জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও। একইভাবে আমাদের বাংলাদেশের সকলকে বলতে হবে জাগো বাহে বাংলাদেশ বাঁচাও।