
আব্বাসী,স্টাফ রিপোর্টারঃ ফাঁসি কার্যকরের ঠিক ২৩ দিন আগে আমাকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮ বছর আমাকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়। ওই আট বছর আমি জানতে পারিনি আমার পিতার কি হয়েছে। আমার পরিবার জানতে পারেনি আমি কি বেঁচে আছি না মারা গেছি। ছাত্রদের বিপ্লবের পর আমাকে মুক্ত করা হয়।এর পর আমি জানতে পারি যে মিথ্যা মামলায় আমার বাবাকে ফাঁসি দিয়েছে।
আয়না ঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শুক্রবার দুপুরে প্রথম বারের মতো মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের চালা গ্রামে পৈত্তিক ভূমিতে এসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি) বাবা মির কাসেম আলীর কবর জিয়ারতের পর নামাজ শেষে মীর আহমেদ বিন কাশেম (ব্যারিস্টার আরমান)।এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার আরমান দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চালা আহমাদিয়া সুলতানিয়া সামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারতের পর চালা আহমাদিয়া সুলতানিয়া সামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে তিনি বলেন, আয়না ঘর থেকে বের হওয়ার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আতমার দুই চোখে ছানি পড়ে গিয়েছিলো। আমি দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। দেশে ফিরে আমি মানিকগঞ্জ আসি আমার পিতার কবর জিয়ারতের জন্য। মানিকগঞ্জ জেলা আমার পিতার অন্তরের জায়গা। এখানে উনার নাড়ি পোতা আছে। মানিকগঞ্জ নিয়ে উনার অনেক পরিকল্পনা ছিলো, আমার বাবা এই মানিকগঞ্জকে একটি আধুনিক নগর হিসাবে তৈরি করার জন্য স্বপ্ন দেখতেন। উনি স্বপ্ন দেখতেন মানিকগঞ্জকে স্যাটেলাইট সিটি হিসেবে তৈরি করার জন্য। মানিকগঞ্জ থেকে রাজধানীতে গিয়ে অফিস করারর স্বপ্ন দেখতেন তিনি।
এসময় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর অঞ্চলের টিম সদস্য ও মানিকগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা নূরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা জাকিরুল ইসলাম খান, হরিরামপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা লোকমান হোসেন, সেক্রেটারী মো. ফারুক হোসেন, ডা.সাহিদুর রহমান শহীদ, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. টিপু সুলতানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।