
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঈদে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে সরকারি চাল বিতরণে ওজনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পরিষদ থেকে ভিজিএফ কার্ডধারীদের কোন পরিমাপ ছাড়াই প্লাষ্টিকের বালতিতে এই চাল বিতরণ করা হয়েছে। পরে ডিজিটাল ওয়েস্কেলে ওজনে কম দেয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। এ নিয়ে চেয়ারম্যান প্রতি বস্তায় চাল কম এসেছে বললেও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা তা মানতে নারাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারিভাবেতেওতা ইউনিয়ন পরিষদে এবার ঈদে ১৮৪৮ জন ভিজিএফ কার্ডধারীদের ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এজন্য উথলিস্থ উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ৫০ কেজির ৩৬৯ বস্তা ও খোলা আরও ৩০ কেজি চাল ওই পরিষদে সরবরাহ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগিরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সকাল থেকেট্যাগ অফিসার মো. রওশন আলী মন্ডলের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও গ্রাম পুলিশসহ লোকজন দিয়ে প্লাষ্টিকের বালতিতে প্রতিজন কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিজনকে প্রায় ১/২ কেজি করে চাল কম দেয়া হচ্ছে।খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে কয়েজনের চাল ওয়েস্কেলে ওজন দিলে সত্যতা পান।
চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়ে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জানান,‘গুদাম থেকে প্রতি বস্তায় ৩/৪ কেজি করে চাল সরবরাহ করেছে। তাই কার্ডধারীদের চাল কম দেয়া হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ট্যাগ অফিসার মো. রওশন আলী মন্ডল জানান, তিনি এসে ৫০ কেজির ৪/৫টি বস্তা ওজন দিয়ে দেখেছেন, প্রতি বস্তায় ৪ থেকে ৫ কেজি করে চাল কম ছিল। তাই বলে যে কার্ডধারীদের চাল কম দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানা ছিল না। তাছাড়া সেখানে চাল ওজনের কোন যন্ত্র ছিল না। প্লাষ্টিকের বালতিতে মেপে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উথলিস্থ উপজেলা খাদ্য গুদাসেরওসি শামীমা সিরাজ জানান, বস্তায় কোন চাল কম দেয়া হয়নি। তারা যখন গুদাম থেকে চাল নিয়েছেন। তখন ওজন নিয়ে কোন অভিযোগ জানায়নি। এখন অভিযোগ করলে সেটি অগ্রহণযোগ্য।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ‘যেসব বস্তায় চাল কম আছে, সেগুলো আবার দেয়া হবে’ বলে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ফোন কেটে দেন। পুনরায় ফোন দিলে তিনি বলেন,‘বস্তায় চাল কম হলে ৫ জনকে দিলে কত কেজি করে কম হয়। ট্যাগ অফিসার উপস্থিত আছে, ওজনে কম দিলে আমরা বিষয়টি দেখাবো।