০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

 

রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কল্পনা আক্তার।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচট বুড়িরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচট বুড়িরবাজার এলাকার মো. মানিক হাজী, তার ছেলে মো. ফয়সাল, মো. এরশাদ, মো. সালাউদ্দিন, মানিক হাজীর স্ত্রী মোসা. রিনা বেগম, তার মেয়ের জামাই ভাদাইল এলাকার মো. ইসরাফিল, মানিক হাজীর ম্যানেজার মো. সুরুজ মিয়া ও মো. সেকেন্দারসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আশুলিয়ার বাইপাইল মৌজায় সিএস এবং এসএ নম্বর ১০৫, আরএস নম্বর ৪১৫, বিআরএস ২৭৪৫ নম্বর দাগে ১১.৫০ শতাংশ জমিতে মালিকানাধীন সূত্রে বাড়ি করে বসবাস করছেন। উক্ত জমিতে তার মোট ২৪টি রুম আছে। যার ২টি রুমে নিজে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন্যান্য রুম গুলোতে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জমি ও বাড়ী জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই জেরে গত ২৭ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ২০ লাখ টাকা, বাড়ি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার নগদ টাকা, ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার এবং ২ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ক্ষয়ক্ষতি করে। এ সময় তারা ভুক্তভোগীর ঘর ভাঙচুর করে এবং তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এ ঘটনার জেরে আতঙ্কে দিন পার করছেন পরিবারটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষের দরজা জানালা ও ওয়াল ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া বাড়িটি দখলের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ির বিভিন্ন কক্ষে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ও মালামাল লুটের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মো. মানিক হাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট ও জায়গা দখলের বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ঝিনাইগাতীতে “আমরা কেমন নেতৃত্ব চাই” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আশুলিয়ায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশের সময়ঃ ১০:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

 

রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কল্পনা আক্তার।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচট বুড়িরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচট বুড়িরবাজার এলাকার মো. মানিক হাজী, তার ছেলে মো. ফয়সাল, মো. এরশাদ, মো. সালাউদ্দিন, মানিক হাজীর স্ত্রী মোসা. রিনা বেগম, তার মেয়ের জামাই ভাদাইল এলাকার মো. ইসরাফিল, মানিক হাজীর ম্যানেজার মো. সুরুজ মিয়া ও মো. সেকেন্দারসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আশুলিয়ার বাইপাইল মৌজায় সিএস এবং এসএ নম্বর ১০৫, আরএস নম্বর ৪১৫, বিআরএস ২৭৪৫ নম্বর দাগে ১১.৫০ শতাংশ জমিতে মালিকানাধীন সূত্রে বাড়ি করে বসবাস করছেন। উক্ত জমিতে তার মোট ২৪টি রুম আছে। যার ২টি রুমে নিজে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন্যান্য রুম গুলোতে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জমি ও বাড়ী জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই জেরে গত ২৭ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ২০ লাখ টাকা, বাড়ি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার নগদ টাকা, ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার এবং ২ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ক্ষয়ক্ষতি করে। এ সময় তারা ভুক্তভোগীর ঘর ভাঙচুর করে এবং তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এ ঘটনার জেরে আতঙ্কে দিন পার করছেন পরিবারটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষের দরজা জানালা ও ওয়াল ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া বাড়িটি দখলের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ির বিভিন্ন কক্ষে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ও মালামাল লুটের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মো. মানিক হাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট ও জায়গা দখলের বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।