
আফজাল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি
প্রতি সপ্তাহে উপজেলার একটি বাজার থেকেই রাজস্ব আদায় হয় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের এই বাজার টির নাম নৈহাটি গরুর বাজার। প্রতি সোমবারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো পিক আপ, ট্রাক, নসিমন গাড়ি নিয়ে গরু ক্রেতা বিক্রেতারা এই বাজারে আসে। তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে রাজস্ব আদায় করা হয় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এই বাজারে খাস কালেকশন শুরু করে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসন।
এই বাজার টি নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা চিরাম ইউনিয়নে অবস্থিত। বর্তমানে এই বাজারে যাওয়ার রাস্তা টি বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই গাড়ি উল্টে রাস্তার নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সামনে বর্ষা মৌসুম, ঐ সময় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলায় মুশকিল হয়ে যাবে মনে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তারা বলে এই রাস্তায় দেশের দূর দুরান্ত থেকে পাইকাররা নৈহাটি বাজারে গরু কিনতে আসে। তাদের ভারী যানবাহন নিয়ে আসার কারনে আমাদের দূর্ভোগ হলেও সরকার পাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও রাস্তা সংস্কারের বাজেট নেই। আমরা কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও মানববন্ধন করেও এই রাস্তার ব্যপারে কোন সমাধান পাচ্ছি না। আমরা চিরাম ইউনিয়ন বাসী বৈষম্যের শিকার। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা সংস্কার হলেও সারাদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নৈহাটি বাজারের রাস্তাটির বেহালদশা কেউ দেখে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শিব্বির আহমেদ বলেন, এই রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে রুগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে শত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আমাদের এলাকার নৈহাটি গরুর বাজার থেকেই সরকার মাসে রাজস্ব আদায় করে ৩০ – ৪০ লক্ষ টাকা। এর পরও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ১০ বছর যাবৎ মেরামত করা হচ্ছে না। বর্ষাকালে এই রাস্তায় গাড়ি আসতে পারবে না। দূর থেকে গরুর পাইকাররা না আসলে সরকার রাজস্ব হারাবে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ড্রাইভার দের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, এই রাস্তায় আসতে মন চায় না। গাড়ি নিয়ে আসতে খুব অসুবিধা হয়। রাস্তায় গর্ত হয়ে গেছে, মাঝেমধ্যে গাড়ি উল্টে যায়। বর্ষাতে আর আসা যাবে না।
বারহাট্টা উপজেলা প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দে বলেন, এই রাস্তাটির আসলেই বাজে একটা অবস্থা। এই রাস্তার এস্টিমেট রেডি করা ছিলো। বাজেট সংকোলনের কারনে দুই দুই বার এস্টিমেট ফেরত নিয়ে আসতে হয়েছে। সামনে অর্থবছরে রাজস্ব খাতের মেরামতের বাজেট থেকে প্রথমেই এই রাস্তাটি মেরামত করার উদ্যোগ নিয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নজরে আনবো।