
শেরপুর প্রতিনিধিঃ মাত্র চার বছরের এক শিশুর ঝাড় ফুঁক দেওয়ার পানি ও তৈল ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে অসুস্থ রোগীরা।
আর এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজারো মানুষ ভিড় করছেন সেই কথিত শিশু কবিরাজের বাড়িতে।
শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এমন ঘটনার দেখা মিলেছে, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের কাজি বাড়ি এলাকার আব্দুল ওহাবের বাড়িতে।
জানা গেছে স্থানীয় আব্দুল ওহাবের ৪ বছরের শিশু পুত্র মোঃ লাবিব মিয়া অলৌকিকভাবে হয়ে উঠেন কবিরাজ। গত কয়েক মাস আগে তার মা অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করেন। পরে তার শিশু পুত্র হঠাৎ পানি পড়া দিলে তার মা সুস্থ হয়ে যান।
পরে স্থানীয় অসুস্থ রোগীরা খবর পেয়ে শিশুটির কাছে আসেন, শিশুটির ঝাড় ফুঁকে সুস্থ হয়ে উঠেন অনেক রোগী। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছেন নারী পুরুষ সহ নানা বয়সী হাজার হাজার মানুষ।
ঝাড়ফুঁক দেওয়ার পানি ও তৈল ব্যবহার করে সুস্থ হওয়ার খবরে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন সেই গ্রামে। এখন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত তিন থেকে চার হাজার রোগিকে ঝারফুঁক পানি ও তৈল দিয়ে যাচ্ছেন এই শিশু কবিরাজ।
শিশুটির বাবা আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমার ছেলে শত শত মানুষের রোগ ভালো করছে এবং রোগী স্বজনরা জানিয়েছে। লাবিবের এই ক্ষমতা আল্লাহ প্রদত্ত সে প্রথমে তার মাকে চিকিৎসা করে ভালো করেছে পরে সুস্থ করেছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন ফুটবল খেলোয়াড়দের। তাই হাজারো মানুষ আমার বাড়িতে আসছে আমার ছেলের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলেন, এটা অবৈজ্ঞানিক এর কুসংস্কার, যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, ঠিকানাসহ অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ
শাহিন বলেন, এটা সম্পূর্ণ কুসংস্কার, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ পদ্ধতিতে রোগ মুক্তির কোন ভিত্তি নেই।
খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।