
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে গাজী মনির হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাকে মারধর করে একটি ট্রাক বোঝাই ঝুট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে অপর একটি গ্রুপের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩ মে) রাত ৭টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ এম এস টাওয়ারে অবস্থিত একটি গার্মেন্টস এর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতা গাজী মনির জানান, ৫ আগষ্টের পর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ একটি গার্মেন্টসের ঝুট নামানো বন্ধ করে দিয়েছিল একটি মহল। দীর্ঘদিন ঝুট নামানো বন্ধ থাকায় গার্মেন্টসে প্রচুর পরিমান ঝুট জমে যায়। গার্মেন্টস মালিক পক্ষ ন্যায্য মূল্যে তাদের ঝুট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। রমজানের ঈদের আগেই গার্মেন্টসের মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি কিন্তু মালিক বিদেশে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জানতে পারি ওই মালিকের সাথে এমএস টাওয়ারের মালিক সৈকত আলী রনির সাথে ডিট রয়েছে। আর রনিও অসুস্থ্য ছিল। পরে রনি সুস্থ্য হয়ে এলাকায় আসার পর তার সাথে কথা বলি। সেও আমাকে মালিকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেয়। তখন মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে
চূড়ান্ত হওয়ার পর গতকাল শনিবার দুপুর থেকে ঝুট নামানো শুরু হয়।
খবর পেয়ে বিএনপির অপর একটি গ্রুপের রাশেদ, মনির, মাহবুব ও সেন্টুসহ ২০/২৫ জন
গিয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে কে ঝুট নিচ্ছে জানতে চায়। তখন তারা আমার
কথা বললে প্রথমে আমার সাথে ভাল ব্যবহার করা হলেও পরে কে বার কার ফোন পেয়ে
আমার সাথে অসদাচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে
চায়। তখন দস্তাদস্তিতে আমার মোবাইল ফোনটি মাটিতে পরে গিয়ে আংশিক
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতিমধ্যে দুইটি ট্রাক ঝুট নিয়ে বের হয়ে যায়। বেলা গড়িয়ে
যাওয়ায় আরেকটি ট্রাক ১৮০ বস্তা ঝুট লোড করে বের হয়ে যাওয়ার সময় তারা
আটকে দেয় এবং আমাকে মারধর করে ট্রাকটি সাইলো গেট এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে ঝুট আনলোড করে ট্রাকটি ফিরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে আমার এলাকার
লোকজন ঘটনাস্থলে এলে তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। তখন আমরা কারো সাথে
বিবাদে না জড়িয়ে এলাকায় চলে যাই। আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিবেন কিনা
জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি সুস্থ হয়ে পরে
সিন্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ জানান, আমাদের কোনো লোক সেখানে যায়নি।
আমাদের লোকজনদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর আলম জানান, এ
ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া
হবে।