১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জ ও এম এস এর ডিলারশিপ নিয়োগ অযোগ্য হওয়ার কারণ জানতে চায় আবেদনকারীরা

নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে ওএমএস এর ডিলারশীপ নিয়োগ নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর আবেদনকারী ব্যক্তিরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছেন।

বুধবার ২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় শহরের ৭৪ বঙ্গবন্ধু সড়ক লাইফ ভিউ-ফুলকুটিঁর, মীম শরৎ এ্যাপার্টমেন্ট (৫ম তলা) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে জড়ো হয়।

তবে ডিলারশীপ পেতে আবেদনকারীদের কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, আমি সারাদিন অফিসেই ছিলাম এমন কেউ আসেনি।

ডিলারশীপে পেতে আবেদনকারীরা জানান, সংবাদ প্রকাশের পর তারা জানতে পেরেছেন ডিলারশীপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আবেদন কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদেরকে কেন জানানো হয়নি এটা জানতেই তারা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের গিয়েছিলেন। যে সময় কার্যালয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন না। আর পরিদর্শক আমিনুর রহমান জুয়েল সকাল থেকেই নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে। আমরা সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে চলে এসেছি।

প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জে ওএমএস এর ডিলার নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন আবেদনকারী।

তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় মামলার কারণে ডিলার নিয়োগ স্থগিত ছিল। সম্প্রতি মামলা নিষ্পত্তি হলে চলতি বছরের গত ২৫ জুন নতুন করে ওএমএস এর ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এ বছর মোট ৩৯টি ডিলারশীপ নিয়োগের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিলো প্রায় দেড়শতাধিক এর অধিক। গত ২৫জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লটারির মাধ্যমে ৩৯টি ডিলারের মধ্যে মাত্র ১৮টি ডিলারশীপ লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি ডিলারশীপ পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া যে ১৮টি ডিলার লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারীরা।

তাদের দাবি লটারির দিন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা ২টি লটারি নিজে তুলেন। এরপর তিনি জরুরি কাজে চলে যাওয়ার পর বাকি ১৮টি লটারি তোলা হয়। ওই ১৮টি লটারিতে থাকা নাম প্রকাশ্যে উপস্থিত আবেদনকারীদের দেখানো হয়নি। এখানোই অনিয়মটি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, সরকার থেকে মোট ৩৯টি ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আমরা ৩৮টি ডিলার নিয়োগ দিতে পেরেছি। ৩৯টি ডিলারের বিপরীতে ১৪৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২৫ জুন লটারীর মাধ্যমে ১৮টি ডিলার লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাকি ২০টি কেন লটারি হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাকি ২০টি ডিলারের বিপরীতে ১জন করেই প্রার্থী ছিল। যোগ্য দ্বিতীয় কোন প্রার্থী না থাকায় বাকি ২০টির লটারি করা হয়নি।

লটারি হওয়া ১৮টি ডিলারের মধ্যে ২ বাদে বাকি ১৬টির নাম কেন জন সম্মুখে প্রদর্শস করা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নাই।

যোগ্য প্রার্থী হতে কি কি প্রয়োজন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনি নীতি মালা দেখে নিন। আর বেশি কিছু জানার থাকলে ফোনে নয় তথ্য অধিকার আইনে লিখিত আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী তথ্য জানানো হবে।

বেশ কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ডিলারশীপ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরিদর্শক খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েল তার বেয়াইকে ডিলারশীপ দিয়েছেন, নিজের সহকারী জহির এর ছোট ভাইকে ডিলারশীপ পাইয়ে দিয়েছেন। নিজের মেয়ের জামাইকে তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন।

শুধু ডিলারশীপের আবেদন করা ব্যক্তিরাই নয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারাও ডিলার নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, ডিলার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ডিলারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এতো বড় একটি বিষয় এখন পর্যন্ত কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। বিষয়টি অবশ্যই জনসম্মুখে আসা প্রয়োজন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েল দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করছেন। বিভিন্ন সময় তার বদলী হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জে থেকে গেছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। বর্তমানেও তিনি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় বদলী হলেও সংযুক্তি হিসেবে নারায়ণগঞ্জে রয়ে গেছেন।

একটি স‚ত্র জানায়, ২০১০ সালে তিনি এএসআই হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। সে সময় তিনি উপজেলা অফিসে জিও এবং ওএমএস এর কাজ করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি এসআই হিসেবে পদোন্নতি পান। পদোন্নতি পেয়েও তিনি নারায়ণগঞ্জে থেকে গেছেন। সে সময় তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নারায়ণগঞ্জেই নিজের চাকরিতে থিতু হোন। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের নেত্রকোনা-৫ আসনে সাবেক সংসদ সসদ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন সম্পর্কে তার চাচা। সেই চাচার সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আমিনুল ইসলাম জুয়েল সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধন কুমার মজুমদারেরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বলেন জানা যায়। সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বার বার নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলী ঠেকিয়েছেন। ২০২৫ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে এসআই থেকে পরিদর্শক হয়েছে। ওই সময় তার বদলী হয় মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়াতে।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন।

অভিযোগের প্রশ্ন শুনেই তিনি এ প্রতিবেদককে অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে বলেন, আপনিও নারায়ণগঞ্জের আমিও নারায়ণগঞ্জের আপনি একটু অফিসে আসেন এক সাথে চা খাবো। আর যা যা জানার জানবেন।

লটারির দিন জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ২টি নাম প্রদর্শনের করা হলেও বাকি নামগুলো প্রকাশ্যে না দেখানোর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নাই। ডিসি সাহেব না থাকলেও এডিসি (সার্বিক) সাহেব ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

দেবহাটা উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতির মায়ের জানাযা সম্পন্ন

নারায়ণগঞ্জ ও এম এস এর ডিলারশিপ নিয়োগ অযোগ্য হওয়ার কারণ জানতে চায় আবেদনকারীরা

প্রকাশের সময়ঃ ১০:০৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে ওএমএস এর ডিলারশীপ নিয়োগ নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর আবেদনকারী ব্যক্তিরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছেন।

বুধবার ২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় শহরের ৭৪ বঙ্গবন্ধু সড়ক লাইফ ভিউ-ফুলকুটিঁর, মীম শরৎ এ্যাপার্টমেন্ট (৫ম তলা) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে জড়ো হয়।

তবে ডিলারশীপ পেতে আবেদনকারীদের কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, আমি সারাদিন অফিসেই ছিলাম এমন কেউ আসেনি।

ডিলারশীপে পেতে আবেদনকারীরা জানান, সংবাদ প্রকাশের পর তারা জানতে পেরেছেন ডিলারশীপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আবেদন কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদেরকে কেন জানানো হয়নি এটা জানতেই তারা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের গিয়েছিলেন। যে সময় কার্যালয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন না। আর পরিদর্শক আমিনুর রহমান জুয়েল সকাল থেকেই নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে। আমরা সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে চলে এসেছি।

প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জে ওএমএস এর ডিলার নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন আবেদনকারী।

তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় মামলার কারণে ডিলার নিয়োগ স্থগিত ছিল। সম্প্রতি মামলা নিষ্পত্তি হলে চলতি বছরের গত ২৫ জুন নতুন করে ওএমএস এর ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এ বছর মোট ৩৯টি ডিলারশীপ নিয়োগের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিলো প্রায় দেড়শতাধিক এর অধিক। গত ২৫জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লটারির মাধ্যমে ৩৯টি ডিলারের মধ্যে মাত্র ১৮টি ডিলারশীপ লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি ডিলারশীপ পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া যে ১৮টি ডিলার লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারীরা।

তাদের দাবি লটারির দিন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা ২টি লটারি নিজে তুলেন। এরপর তিনি জরুরি কাজে চলে যাওয়ার পর বাকি ১৮টি লটারি তোলা হয়। ওই ১৮টি লটারিতে থাকা নাম প্রকাশ্যে উপস্থিত আবেদনকারীদের দেখানো হয়নি। এখানোই অনিয়মটি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, সরকার থেকে মোট ৩৯টি ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আমরা ৩৮টি ডিলার নিয়োগ দিতে পেরেছি। ৩৯টি ডিলারের বিপরীতে ১৪৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২৫ জুন লটারীর মাধ্যমে ১৮টি ডিলার লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাকি ২০টি কেন লটারি হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাকি ২০টি ডিলারের বিপরীতে ১জন করেই প্রার্থী ছিল। যোগ্য দ্বিতীয় কোন প্রার্থী না থাকায় বাকি ২০টির লটারি করা হয়নি।

লটারি হওয়া ১৮টি ডিলারের মধ্যে ২ বাদে বাকি ১৬টির নাম কেন জন সম্মুখে প্রদর্শস করা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নাই।

যোগ্য প্রার্থী হতে কি কি প্রয়োজন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনি নীতি মালা দেখে নিন। আর বেশি কিছু জানার থাকলে ফোনে নয় তথ্য অধিকার আইনে লিখিত আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী তথ্য জানানো হবে।

বেশ কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ডিলারশীপ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরিদর্শক খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েল তার বেয়াইকে ডিলারশীপ দিয়েছেন, নিজের সহকারী জহির এর ছোট ভাইকে ডিলারশীপ পাইয়ে দিয়েছেন। নিজের মেয়ের জামাইকে তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন।

শুধু ডিলারশীপের আবেদন করা ব্যক্তিরাই নয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারাও ডিলার নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, ডিলার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ডিলারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এতো বড় একটি বিষয় এখন পর্যন্ত কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। বিষয়টি অবশ্যই জনসম্মুখে আসা প্রয়োজন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েল দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করছেন। বিভিন্ন সময় তার বদলী হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জে থেকে গেছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। বর্তমানেও তিনি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় বদলী হলেও সংযুক্তি হিসেবে নারায়ণগঞ্জে রয়ে গেছেন।

একটি স‚ত্র জানায়, ২০১০ সালে তিনি এএসআই হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। সে সময় তিনি উপজেলা অফিসে জিও এবং ওএমএস এর কাজ করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি এসআই হিসেবে পদোন্নতি পান। পদোন্নতি পেয়েও তিনি নারায়ণগঞ্জে থেকে গেছেন। সে সময় তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নারায়ণগঞ্জেই নিজের চাকরিতে থিতু হোন। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের নেত্রকোনা-৫ আসনে সাবেক সংসদ সসদ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন সম্পর্কে তার চাচা। সেই চাচার সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আমিনুল ইসলাম জুয়েল সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধন কুমার মজুমদারেরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বলেন জানা যায়। সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বার বার নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলী ঠেকিয়েছেন। ২০২৫ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে এসআই থেকে পরিদর্শক হয়েছে। ওই সময় তার বদলী হয় মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়াতে।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জুয়েলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন।

অভিযোগের প্রশ্ন শুনেই তিনি এ প্রতিবেদককে অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে বলেন, আপনিও নারায়ণগঞ্জের আমিও নারায়ণগঞ্জের আপনি একটু অফিসে আসেন এক সাথে চা খাবো। আর যা যা জানার জানবেন।

লটারির দিন জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ২টি নাম প্রদর্শনের করা হলেও বাকি নামগুলো প্রকাশ্যে না দেখানোর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নাই। ডিসি সাহেব না থাকলেও এডিসি (সার্বিক) সাহেব ছিলেন।