
✍️মাওলানা শেখ মিলাদ হোসাইন সিদ্দিকীঃ ★ভূমিকা: এই জগতে বিরাজমান প্রতিটি বস্তুরই একটি শুরু এবং শেষ আছে। হোক তা জীব বা জড়বস্তু। সুতরাং এই নক্ষত্রগুলো সৃষ্টি হয় এবং ধ্বংস হয় অথবা বিস্ফোরিত হয়। আর এই তরুলতা, গাছপালা ও মানুষ সৃষ্টি হয় তারপর মরে যায়। এই সূর্য ক্রমান্বয়ে উদ্ভাসিত হয়, এরপর তার সাথে নক্ষত্রসহ নিজস্ব ব্লক থেকে বহু মিলিয়ন টন সংকুচিত হয়ে যায়।
আর স্পষ্ট বিষয় হচ্ছে, এগুলোর কোনটিই নিজেকে সৃষ্টি করেনি। তার অবশ্যই একজন অস্তিত্ব দানকারী আছে। সুতরাং প্রত্যেক অস্তিত্বমান বস্তুরই একজন অস্তিত্ব দানকারী আছে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইরশাদ করেছেন-
أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ ﴿الطور: ٣٥﴾
“তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?”
(সূরা তূর: ৩৫)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরো ইরশাদ করেছেন-
أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ ﴿الواقعة: ٥٨﴾ أَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ ﴿الواقعة: ٥٩﴾
“তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে। তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?”
(সূরা ওয়াক্বিয়া:)
আর বিবেক এটা মানতে পারে না যে, প্রতিটি অস্তিত্বমান বস্তুই অনন্তকাল থাকবে এবং এটাও মানতে পারে না যে, তা একেবারেই অস্তিত্বহীন ছিল।
তাহলে অবশ্যই একজন প্রথম অস্তিত্ব দানকারী আছে, যাকে অন্য কেউ অস্তিত্ব দান করেনি। আর তিনিই হচ্ছেন মহান সত্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা। যিনি স্বত্ত্বাগতভাবেই অস্তিত্বশীল। অস্তিত্বে আসার জন্য তিনি করো মুখাপেক্ষী নন। অথবা অবিনশ্বর সত্তা মহান আল্লাহ তেমনই, যেমনটা তিনি নিজের সম্পর্কে الْقَيُّومُ তথা “তিনি সবকিছুর ধারক” বলেছেন।
এ মর্মে তিনি ইরশাদ করেছেন-
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ …﴿البقرة: ٢٥٥﴾
“আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।”
(সূরা বাকারা:
২৫৫)
প্রতিটি অস্তিত্বমান বস্তুই অস্তিত্বে আসার জন্য কোন মাধ্যমের মুখাপেক্ষী হয়, যে তাকে অস্তিত্বে নিয়ে আসবে। সুতরাং গাছ-পালা, তরু-লতার অস্তিত্বের জন্য বীজ হচ্ছে মাধ্যম। আর বীজের পূর্বের ফলটি হচ্ছে ঐ বীজটি অস্তিত্বে আসার মাধ্যম। এভাবে একটি আরেকটির মাধ্যম হওয়ার ধারাবাহিকতা চলতে থাকে- প্রত্যেক অস্তিত্বমান বস্তু অস্তিত্বে আসার পিছনে অন্য কোন মাধ্যম অথবা কারণ থাকে।
বিবেক এটা মেনে নেয় না যে, অস্তিত্বমান বস্তুটি একটি শুরু এবং একটি সমাপ্তির মাঝেই সীমাবদ্ধ। এটাও মেনে নেয় না যে, অস্তিত্বে আসার বা না আসার সম্ভাবনাময় বস্তুটি নিজেই তার অস্তিত্বে আসার মাধ্যম। আবার বিবেক এটাও মেনে নেয় না যে, অস্তিত্বমান বস্তুগুলোর কোন প্রাথমিক মাধ্যম নেই। তাহলে বুঝা গেল, একটি প্রাথমিক কারণ বা মাধ্যম থাকা আবশ্যক, যা নিজে অস্তিত্বে আসার জন্য ঐ মাধ্যম থেকে অমুখাপেক্ষী থাকবে, যা তাকে মাধ্যম বানাবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইরশাদ করেছেন-
هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ﴿الحديد: ٣﴾
“তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।”
(সূরা হাদীদ: ৩)
এই অস্তিত্বমান বস্তুগুলো এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় পরিবর্তিত হয়। যেমন শিশু ছোট হয়ে জন্মগ্রহণ করে, তারপর পর্যায়ক্রমে সে বার্ধক্যে উপনীত হয়। তার এ পরিবর্তন কে ঘটাল? এটা তো স্পষ্ট যে, সে নিজেই নিজের পরিবর্তন ঘটায়নি। তাহলে কে তাকে পরিবর্তন করল? আবার তার পরিবর্তনকারীকে কোন সত্তা পরির্বনতন করল? এভাবে প্রশ্নের পর প্রশ্ন চলতে থাকবে। সুতরাং বিবেক এটা মেনে নিবে না যে, সেখানে একজন প্রথম হস্তক্ষেপকারী নেই। সুতরাং বুঝা গেল যে, বিশ্বজগতের মাঝে এমন একজন হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণকারী আছে, যার মাঝে কেউ হস্তক্ষেপ করেনি। আর তিনিই হচ্ছেন মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইরশাদ করেছেন-
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ وَلَدٌ وَلَمْ تَكُن لَّهُ صَاحِبَةٌ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ﴿الأنعام: ١٠١﴾ ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ ﴿الأنعام: ١٠٢﴾
“তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী নেই ? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ। তিনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তিনি প্রত্যেক বস্তুর কার্যনির্বাহী।”
(সূরা আন‘আম: ১০১-১০২)
যারা মনে করে এই জগত আকস্মিকভাবে অস্তিত্বে এসেছে কিছু পদার্থ পরস্পরে ক্রিয়াশীল হওয়ার মাধ্যমে। যা নির্দিষ্ট কিছু সময়, নির্দিষ্ট সম্পর্ক ও নির্দিষ্ট পাত্রে বিদ্যমান ছিল। অনুরূপভাবে জীবনও কিছু পদার্থের পারস্পরিক ক্রিয়াশীল হওয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। যা নির্দিষ্ট কিছু পাত্রে বিদ্যমান ছিল। এরপর আকস্মিকভাবে তা অস্তিত্বে এসেছে।
আমি তাদেরকে বলব-
আকস্মিক শব্দটি শুধুই বিশেষণ বুঝানোর জন্য, তা পূর্বের প্রশ্নসমূহের জবাব দিতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, তুমি পথে বের হলে, কিছু দূর যাওয়ার পর কোন প্রতিশ্রুতি কিংবা পূর্ব-প্রস্তুতি ছাড়াই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এক পুরাতন বন্ধুর সাথে সাক্ষাত হল। এটা একটা সম্ভাবনাময় বিষয়। ভিন্ন কারো সাথেও তো সাক্ষাত হতে পারত, তাকে তুমি চেনো বা না চেনো। তার সাক্ষাতের আয়োজন কর বা না কর।
যাই হোক, তো সেই ব্যক্তি কে? যিনি এই সময়ে এই স্থানে তোমার এ বন্ধুর মিলন ঘটাল? বরং তুমি যখন সেই সময়টাতে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে তুলনা করবে, অর্থাৎ অন্য একটি সম্ভাবনাকে ধরে নিবে, তখন প্রশ্ন হবে এই অন্য সম্ভাবনাকে কে বাস্তবায়ন করল। এভাবে “কে” শব্দযোগে উত্তরবিহীন প্রশ্ন চলতেই থাকবে। আর “কে” শব্দকে নাস্তিকরা অপছন্দ করে।
এর পরের কথা হচ্ছে, এ বিশ্বজগত যখন এক বিগ ব্যাঙের (মহা বিস্ফোরণের) মাধ্যমে অস্তিত্বে এসেছে, তাহলে এই বিগ-ব্যাঙ অস্তিত্বে আসার পিছনে কে আছে? আনুপাতিক হারে অপরিহার্য পদার্থগুলো কে সৃষ্টি করেছে, যেগুলো ঐ বিগ-ব্যাঙের জন্য প্রয়োজনীয় মূহূর্তে আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে?
এর উত্তরে যদি নাস্তিকরা বলে, জানিনা। তাহলে বলব, কিভাবে জানলে, এ জগত বিগ ব্যাঙের মাধ্যমে অস্তিত্বে এসেছে?
যদি বলে, এ বিগ ব্যাঙকে তার পূর্বের বিগ-ব্যাঙ অস্তিত্ব দিয়েছে। উত্তরে আমরা বলব, তাহলে তো বিপুল পরিমাণে বিগ-ব্যাঙ থাকতে হবে? তখন প্রতিটি পদার্থ একটি করে বিগ ব্যাঙ সৃষ্টি করেছে। এভাবে তাপ, চাপ, সঞ্চলন, স্থান, সময়, গতি এবং চলার দিক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় প্রতিটি অবস্থাকে একটি বিগ ব্যাঙ সৃষ্টি করেছে। তারপর আরেকটি বিগ ব্যাঙ এসে এ সকল বিগ ব্যাঙকে একত্রিত করেছে। তারপর কি অপর একটি বিগ ব্যাঙ এসে সকল বিগ ব্যাঙকে পরস্পরের সাথে ক্রিয়াশীল করেছে?
তাহলে তো এভাবে প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসতে থাকবে- বিগ ব্যাঙের বিগ ব্যাঙকে কে সৃষ্টি করেছে? যদি তাকে আরেক বিগ ব্যাঙ সৃষ্টি করে, তাহলে তাকে আবার কে সৃষ্টি করেছে? এভাবে অনর্থক প্রশ্নের ধারা চলতে থাকবে।
ঐ নাস্তিকদেরকে আমরা বলব, আমরা শুধু তোমাকে এ প্রশ্ন করব না যে, বিগ ব্যাঙের অবস্থাগুলো কিভাবে সঞ্চিত হল? বরং গায়ে পড়ে এ প্রশ্নও করব যে, শেষে ঐ বিগ ব্যাঙকে কে অস্তিত্বে নিয়ে আসল? কে সে? যিনি ঐ বিগ ব্যাঙ অস্তিত্বে আসার কারণ? ঐ অবস্থা ও পদার্থগুলো কি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে, যা বিগ ব্যাঙকে সঞ্চয় করেছে? নাকি সেগুলোকে একজন অস্তিত্ব দান করেছে???
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলাই সত্য বলেছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন-
أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ ﴿الطور: ٣٥﴾
“তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?” (সূরা তূর: ৩৫)
যে জুলিয়ন হাক্সলি লিখন-যন্ত্র (কম্পিউটার) ও ছয় বানরের উপমা দিয়েছিল, তার উপমাকে উদ্দেশ্য করে যুক্তির ভাষায় বলা যায়, কে সে? যে ছয় বানরকে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছিল? কে লিখন-যন্ত্র সৃষ্টি করেছে? কে সেগুলোকে এক স্থানে একত্রিত করেছে? কে বানরের বয়স মিলিয়ন মিলিয়ন বছর বৃদ্ধি করেছে? কে এমন মজবুত লিখন-যন্ত্র দান করেছে, যা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর একাধারে চলেছে? এবং এ মহা সময়ে সেগুলো না নষ্ট হয়েছে, না সংস্করণের প্রয়োজন পড়েছে। এত আঘাতের কারণে না পুরাতন হয়েছে, না ভেঙ্গে গেছে? কে তাদের কাগজ দিয়ে সহায়তা করেছে এবং তাতে কাগজ ঢুকিয়ে দিয়েছে? কে তাতে কালি ভরে দিয়ে সাহায্য করেছে? এবং এভাবে একনাগাড়ে সাহায্য করে গেছে? কে এই বানরগুলোকে বাধ্য করেছে বিরামহীনভাবে এত বছর ধরে লিখন-যন্ত্রে আঘাত করে যেতে? তাদের সাথে কি কোন পর্যবেক্ষক ছিল? যে তাদেরকে এ বিরামহীন কাজে বাধ্য করেছে? কে সে?
“কে” শব্দ দিয়ে প্রশ্ন করলে নাস্তিকদের মুখ কালো হয়ে যায়, যা আগেও বলেছি।
তারপর মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে এ কাজ যখন শেক্সপিয়রের একটি কবিতা উৎপাদন করেছে অথবা তোমার ধারণায়- তার একটি সম্ভাব্য কবিতা উৎপাদন করেছে, তাহলে কত বছর লাগতে পারে তার সকল কবিতা প্রস্তুত করতে? কত বছর লাগতে পারে ইংরেজ কবিদের সকল কবিতা টাইপ করতে? এভাবে দুনিয়ার সকল কবিদের কবিতা টাইপ করতে কত সময় লাগতে পারে? কত সময় লাগতে পারে দুনিয়ার সকল সাহিত্যিকদের লেখা টাইপ করতে? কত সময় ? কত কাল? কত…?
আচ্ছা, যদি তোমরা বল, বিলিয়ন বিলিয়ন কপির মাঝে (যা একটা অমূলক কথা) একটি পাতা পাওয়া গেছে, যাতে শেক্সপিয়রের একটি কবিতা ছিল। তাহলে তোমার কথা এটা আবশ্যক করে যে, বিগ ব্যাঙের মাধ্যমে একটি জগত সৃষ্টির সাথে অবশ্যই বিলিয়ন বিলিয়ন জগত থাকতে হবে, থাকতে হবে বিলিয়ন বিলিয়ন সৃষ্টি, যা ধ্বংস ও নিঃশেষ হয়ে গেছে। আর বিলিয়ন বিলিয়ন এই নষ্ট কপিগুলোই প্রাধান্য বিস্তারকারী, স্বেচ্ছাচারী। তাহলে সেগুলো কোথায়??
অতএব বুঝা গেল তোমরা মিথ্যা বলেছ, আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলাই সত্য বলেছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন-
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿الملك: ١﴾ الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ ﴿الملك: ٢﴾ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَٰنِ مِن تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ ﴿الملك: ٣﴾ ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ ﴿الملك: ٤﴾
“পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়। তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।” (সূরা মুলক: ১-৪)