০২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সহিহ হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী

 

✍️মাওলানা শেখ মিলাদ হোসাইন সিদ্দিকী হাফিজাহুল্লাহঃ

📖১ নং দলিল…

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম হাকিম, ইমাম আত-তাবারানী, ইমাম আল-বাজ্জার, ইমাম আল-বায়হাকী (رحمة الله) বর্ননা করেন,
হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,

عَن العِرْباض بن ساريةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ… وَسَأُخْبِرُكُمْ بِأَوَّلِ أَمْرِي دَعْوَةُ إِبْرَاهِيمَ وَبِشَارَةُ عِيسَى وَرُؤْيَا أُمِّي الَّتِي رَأَتْ حِينَ وَضَعَتْنِي وَقَدْ خَرَجَ لَهَا نُورٌ أَضَاءَ لَهَا مِنْهُ قصر الشام… (رواية في شرح ااسنة)

“আমি আল্লাহর বান্দা ও শেষ নবী।আমি তখনো নবী ছিলাম যখন আদম (عليه السلام) মাটির অন্তর্গত ছিলেন। খুব শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে এসব বিষয়ে অবগত করব। আমি আমার পিতা হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام) এর দোয়া, হযরত ঈসা (عليه السلام) এর [তার জাতিকে দেয়া ভবিষ্যৎবানী] সুসংবাদ এবং “আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল।”

তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ খ ৪ : প ১২৭ : হাদিস ১৬৭০১।
২.আল-বায়হাকী, শু’য়াবুল ঈমান, খ. ২, পৃ. ৫১০, হাদীস: ১৩২২।
৩.ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুওয়াত : খন্ড ১ : পৃ ৮৩, প ১১০।
৪.ইমাম বাজ্জার : আল বাহরুয যাখরার : খ ১০, পৃ ১৫৩, হাদিস ৪১৯৯ ।
৫.ইমাম ইবনে ইসহাক : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ২৮।
৬.ইমাম ইবনে হিশাম : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ১৫৬। ৭.ইমাম ইবনে সা’দ : তাবাকাত আল কুবরা : খ ১ : প ১৫০।
৮.ইমাম তাবারী : তফসীরে তাবারী : খ ১ : প ৫৫৬।
৯.ইমাম তাবারী : তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক : খ ১ : প ৪৫৮।
১০.ইমাম ইবনে আসাকির : তারিখে মদিনাত দামিস্ক : ১ম খন্ড : ১৭০ পৃ & ৩য় খন্ড ৩৯৩ পৃ।
১১.ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : খ ২ : প ১৩১।
১২.ইমাম আবু লাইস সমরকানী : তফসীরে সমরকানী : খ ৩ : প ৪২১।
১৩.আত-তাবারানী, আল-মু’জামুল কবীর, খ. ১৮, পৃ. ২৫২, হাদীস: ২২৯ ও ২৩০।
১৪.ইমাম ইবনে হিব্বান : সহীহ ইবনে হিব্বান : খ ৯ : প ১০৬।
১৫.মুসনাদে আফযার : হাদিস ২৩৬৫।
১৬.খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবিহ, ৩/১৬০৪পৃ. হাদিস নং. ৫৭৫৯,
১৭.ইমাম ইবনে জাওজী : আল ওয়াফা : প ৯১।
১৮.ইমাম হাকিম : মুস্তাদরেক আল হাকিম : খন্ড ২. পৃ. ৪৫৩, হাদীস: ৩৫৬৬ ও পৃ. ৬৫৬, হাদীস: ৪১৭৫।
১৯.ইমাম ইবনে কাসীর : তফসীরে ইবনে কাসীর : খ ৪ : প ৩৬০।
২০.ইমাম ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : খ ২ : প ৩২১।
২১.ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী : মাজমাউল যাওয়াইদ : (৮:২২১/৪০৯)
২২.ইমাম সূয়ূতী : তফসীরে দুররে মনসূর : খ ১ : প ৩৩৪।
২৩.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩।
২৪.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭।
২৫.মাওয়ারেদুল জামান : ১ম খন্ড : পৃ ৫১২।
২৬.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩।
২৭.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭।
২৮.সীরাত বিশ্বকোষঃ হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) : ৪খন্ডঃ পৃ ২১৮ : ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশনী।

📖২ নং দলিল…
হযরত আবু কাতাদা আনসারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

– أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، وَالْحَجَّاجُ، قَالَا: حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ صَوْمُ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ ؟ قَالَ: ” فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ الْقُرْآنُ ” أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي الصَّحِي

অর্থঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে সোমবারে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিঁনি ইরশাদ করেন-
“সোমবারে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং সোমবারই আমার প্রতি ওহী নাজিল করা হয়েছে।”
●মোসান্নাফে আবদ্ আল-রাযযাক, ৪র্থ খণ্ড, ২৯৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৮৬৫
●সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০৬; ২৬০৩ হাদীসেও বিদ্যমান।
●মুসনাদে ইমাম আহমদ, খন্ড-৫ম, পৃ-২৮৭ হা.নং২১৫০৮,
●সুনানে আবি দাউদ, ৭ম খণ্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৪২৮
●মিশকাত পৃঃ১৭৯,
●বায়হাকীঃ সুনানে বায়হাকী, খন্ড ১ম, পৃ-৭২,
●ইমাম বায়হাকী কৃত সুনানে কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, ৩০০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৮১৮২ ও ৮২৫৯
●ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানীঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:
͏●ইমাম মোল্লা আলী কারীঃ মিরকাত শরহে মিশকাত, খন্ড-৪র্থ, পৃ-২৯১,
●আসাদ আল-গাবা ফী মা’আরফাতেস্ সাহাবা, ১ম খণ্ড, ২১-২২ পৃষ্ঠা; ১৯৮৭ সালে লাহোর, পাকিস্তান প্রকাশিত।

📖৩ নং দলিল…

– حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى كُنْتُ مِنْ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ

নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা, ইব্রাহীম (عليه السلام) এর আওলাদ হতে ইসমাঈল (عليه السلام) কে নির্বাচন করেছেন। ইসমাঈল (عليه السلام) হতে কেনানাহকে নির্বাচন করেছেন এবং কেনানার বংশ হতে কুরাইশ, কুরাইশের বংশ হতে হাশেমকে নির্বাচন করেছেন আর আমাকে হাশেমের আওলাদ হতে নির্বাচন করেছেন।

●মুসলিম শরীফ, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ৫৮;
●তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং ৩৬০৫;
●মসনদে আহমদ, হাদীস নং ১৭০২৮;
●মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ১১/৪৭৮, হদীস নং ৩২৩৮৯।

📖৪নং দলিল…

হযরত উরওয়া ইবনে জুবায়ের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,

ﻗﺎﻝ ﻋﺮﻭﺓ ﻭﺛﻮﻳﺒﺔ ﻣﻮﻻﺓ ﻻﺑﻰ ﻟﻬﺐ ﻛﺎﻥ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﻋﺘﻘﻬﺎ ﻓﺎﺭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻠﻤﺎ ﻣﺎﺕﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﺭﻳﻪ ﺑﻌﺾ ﺍﻫﻠﻪ ﺑﺸﺮ ﺣﻴﺒﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎﺫﺍ ﻟﻘﻴﺖ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻟﻢ ﺍﻟﻖ ﺑﻌﺪﻛﻢ ﻏﻴﺮ ﺍﻧﻰ ﺳﻘﻴﺖ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺑﻌﺘﺎﻗﺘﻰ ﺛﻮﻳﺒﺔ

হযরত সুহাইবাহ (رضي الله عنه) আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব ওনার কাছে থেকে [রাসুল ﷺ] এর বেলাদাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে কৃতদাসী সুহাইবাহ (رضي الله عنه) কে আযাদ করে দিয়েছিল। যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ [হযরত আব্বাস (رضي الله عنه)] তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশ্যে বলেন,“তোমার অবস্থা কেমন?”
আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি, কেবল যে দিন [রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বেলাদতের খুশিতে] দাসী সুহাইবাকে আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে প্রতি সোমবার আংগুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে আমি ঐ পানি পান করে থাকি ঐদিন (জাহান্নামের কঠিন) আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।”

তথ্যসূত্রঃ

● সহিহ বুখারী : ২৬৪৪, ২৬৪৫, ২৬৪৬, ৩১০৫, ৪৭৯৬, ৫০৯৯, ৫১০০, ৫১০১, ৫১০৩, ৫১০৬, ৫১০৭, ৫১২৪, ৫১৩৩, ৫২৩৯, ৫৩৭২, ৬১৫৬
●ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ : হাদিস ২৫৯৫৩ উক্ত শিরোনামে لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأباها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن পুনরায় হাদিস ২৬৮৬৫, মতন :
ابنة أخي من الرضاعة وأرضعتني وأبا سلمة ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن
●ইমাম নাসাঈ : আস সুনানুল কুবরা : হাদিস ৫৩৯৪, ৫৩৯৫
●ইমাম নাসাঈ : আস সুনান আস-সুগরা : হাদিস ৩২৮৪, ৩২৮৫, ৩২৮৬, ৩২৮৭
●ইবনে মাজাহ : হাদিস ১৯৩৯ শিরোনাম( ابنة أخي من الرضاعة أرضعتني وأباها ثويبة فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن)
● মুসলিম : হাদিস ২৬৩৪, ২৬৩৫।
● সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪১১০, ৪১১১ হাদিসের মতন :
إن زينب تحرم علي وإنها في حجري وأرضعتني وإياها ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن ولا عماتكن ولا خالاتكن ولا أمهاتكن
اطراف الحدیث
●ইমাম বায়হাকী : সুনান আল কুবরা : বিবাহ অধ্যায়।
●জামেউল হাদিস : মাসানিদুস সাহাবা : হাদিস ৪৩৫৪৫।
●ইমাম বাগবি : শরহুস সুন্নাহ : ৯ম খন্ড : ৭৫ পৃ।
●ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : ৬ খন্ড, হাদিস ১৫৭২৫।
●মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ৭ম খন্ড, হাদিস ১৩৫৪৬।
●ইমাম আঈনী : উমদাতুল কারী শরহে বুখারী : ১৪ খন্ড, পৃ ৪৫।
●ইমাম ইবনে কাসীর : সিরাত আন নববিয়্যাহ : ১ম খন্ড , পৃ ২২৪।
●শরহে যুরকানী, ১ম খন্ড, ২৬১ পৃ।
●সুবলুল হুয়া ওয়ার রশদ : ১ম খন্ড, ৩৬৭ পৃ।
●ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী : ৭ম জিলদের ১২৫।
●ইবনুল কাইয়্যুম : তোহফাতুল মাওদুদ বি আহকাম আল মাওলুদ, ১৯ পৃ।
●ইবনে আব্দুল ওহাব, মুখতাসার সিরাতুর রাসূল, মাওলিদুন্নবী।

📖৫ নং দলিল…

হুজুর করিম (ﷺ) এর চাচা হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,

عَن الْعَبَّاس أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ:مَنْ أَنَا؟ فَقَالُوا: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ:أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ ثمَّ جعلهم فرقتَيْن فجعلني فِي خير فِرْقَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبيلَة ثمَّ جعله بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا فَأَنَا خَيْرُهُمْ نفسا وَخَيرهمْ بَيْتا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ-

-‘‘একদা তিনি হুযুর (ﷺ) এর নিকট ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আসলেন। কারণ তিনি যেন হুযুর করিম (ﷺ) এর বংশ বুনিয়াদ সম্পর্কে বিরূপ কিছু মন্তব্য শুনেছেন। [তা হুযুর করিম (ﷺ) কে অবহিত করলেন।] তখন হুজুর (ﷺ) মিম্বর শরীফের উপর আরোহন করলেন। অতঃপর তিনি সাহাবা কেরামগণের উদ্দেশ্যে বললেন “আমি কে?”
উত্তরে তাঁরা বললেন “আপনি আল্লাহর রাসূল”। তখন হুজুর আকরাম (ﷺ) এরশাদ করলেন “আমি আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিবের পুত্র মুহাম্মদ (ﷺ)। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মানব-দানব সবই সৃষ্টি করেছেন। এতেও আমাকে উত্তম পক্ষের [অর্থাৎ মানবজাতি] মধ্যে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাদেরকে [মানব জাতিকে] দু ভাগে বিভক্ত করেন [আরবীয় ও অনারবীয়]। এতেও আমাকে উত্তম ‘সম্প্রদায় [আরবীয়তে] প্রেরণ করেছেন। অতঃপর আরব জাতিকে বহু গোত্রে বিভক্ত করেন। আর আমাকে গোত্রের দিক দিয়ে উত্তম গোত্র [কুরাইশে] রেখেছেন করেছেন। তারপর তাদেরকে [কুরাইশকে] পুনরায় বিভিন্ন উপগোত্রে ভাগ করেছেন। আর আমাকে উপগোত্রের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ উপগোত্র [বনি হাশেমে] প্রেরণ করেছেন। সুতরাং আমি তোমাদের [তামাম সৃষ্টিজগতের] মধ্যে সত্ত্বাগত, বংশগত ও গোত্রগত দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ।’’

→ইমাম তিরমিযি এ সনদটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।
→আবূ হাসান এই হাদীসকে হাসান বলেছেন।
● তিরমিযী শরীফঃ কিতাবুল মানাকিব (গুণাবলীর বই), মহানবী (ﷺ) এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত অধ্যায়, হাদীস নং ৩৬০৮/৩৬১৬]
●মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৮৮,
●আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৭৫,
●মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩২২৯৬
●বায়হাকীঃ দালায়েলুল নবুওয়াতঃ ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ,
●কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ
●খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবিহ, – ৫১৩ পৃ.,
●আশরাফ আলী থানভীঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) : অধ্যায় ৪ : নবী প্রেমের দাবী : ৪৩ পৃ, বাড কম্প্রিন্ট & পাব্লিকেশনস।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সহিহ হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী

সহিহ হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৩৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

✍️মাওলানা শেখ মিলাদ হোসাইন সিদ্দিকী হাফিজাহুল্লাহঃ

📖১ নং দলিল…

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম হাকিম, ইমাম আত-তাবারানী, ইমাম আল-বাজ্জার, ইমাম আল-বায়হাকী (رحمة الله) বর্ননা করেন,
হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,

عَن العِرْباض بن ساريةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ… وَسَأُخْبِرُكُمْ بِأَوَّلِ أَمْرِي دَعْوَةُ إِبْرَاهِيمَ وَبِشَارَةُ عِيسَى وَرُؤْيَا أُمِّي الَّتِي رَأَتْ حِينَ وَضَعَتْنِي وَقَدْ خَرَجَ لَهَا نُورٌ أَضَاءَ لَهَا مِنْهُ قصر الشام… (رواية في شرح ااسنة)

“আমি আল্লাহর বান্দা ও শেষ নবী।আমি তখনো নবী ছিলাম যখন আদম (عليه السلام) মাটির অন্তর্গত ছিলেন। খুব শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে এসব বিষয়ে অবগত করব। আমি আমার পিতা হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام) এর দোয়া, হযরত ঈসা (عليه السلام) এর [তার জাতিকে দেয়া ভবিষ্যৎবানী] সুসংবাদ এবং “আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল।”

তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ খ ৪ : প ১২৭ : হাদিস ১৬৭০১।
২.আল-বায়হাকী, শু’য়াবুল ঈমান, খ. ২, পৃ. ৫১০, হাদীস: ১৩২২।
৩.ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুওয়াত : খন্ড ১ : পৃ ৮৩, প ১১০।
৪.ইমাম বাজ্জার : আল বাহরুয যাখরার : খ ১০, পৃ ১৫৩, হাদিস ৪১৯৯ ।
৫.ইমাম ইবনে ইসহাক : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ২৮।
৬.ইমাম ইবনে হিশাম : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ১৫৬। ৭.ইমাম ইবনে সা’দ : তাবাকাত আল কুবরা : খ ১ : প ১৫০।
৮.ইমাম তাবারী : তফসীরে তাবারী : খ ১ : প ৫৫৬।
৯.ইমাম তাবারী : তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক : খ ১ : প ৪৫৮।
১০.ইমাম ইবনে আসাকির : তারিখে মদিনাত দামিস্ক : ১ম খন্ড : ১৭০ পৃ & ৩য় খন্ড ৩৯৩ পৃ।
১১.ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : খ ২ : প ১৩১।
১২.ইমাম আবু লাইস সমরকানী : তফসীরে সমরকানী : খ ৩ : প ৪২১।
১৩.আত-তাবারানী, আল-মু’জামুল কবীর, খ. ১৮, পৃ. ২৫২, হাদীস: ২২৯ ও ২৩০।
১৪.ইমাম ইবনে হিব্বান : সহীহ ইবনে হিব্বান : খ ৯ : প ১০৬।
১৫.মুসনাদে আফযার : হাদিস ২৩৬৫।
১৬.খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবিহ, ৩/১৬০৪পৃ. হাদিস নং. ৫৭৫৯,
১৭.ইমাম ইবনে জাওজী : আল ওয়াফা : প ৯১।
১৮.ইমাম হাকিম : মুস্তাদরেক আল হাকিম : খন্ড ২. পৃ. ৪৫৩, হাদীস: ৩৫৬৬ ও পৃ. ৬৫৬, হাদীস: ৪১৭৫।
১৯.ইমাম ইবনে কাসীর : তফসীরে ইবনে কাসীর : খ ৪ : প ৩৬০।
২০.ইমাম ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : খ ২ : প ৩২১।
২১.ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী : মাজমাউল যাওয়াইদ : (৮:২২১/৪০৯)
২২.ইমাম সূয়ূতী : তফসীরে দুররে মনসূর : খ ১ : প ৩৩৪।
২৩.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩।
২৪.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭।
২৫.মাওয়ারেদুল জামান : ১ম খন্ড : পৃ ৫১২।
২৬.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩।
২৭.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭।
২৮.সীরাত বিশ্বকোষঃ হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) : ৪খন্ডঃ পৃ ২১৮ : ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশনী।

📖২ নং দলিল…
হযরত আবু কাতাদা আনসারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

– أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، وَالْحَجَّاجُ، قَالَا: حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ صَوْمُ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ ؟ قَالَ: ” فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ الْقُرْآنُ ” أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي الصَّحِي

অর্থঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে সোমবারে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিঁনি ইরশাদ করেন-
“সোমবারে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং সোমবারই আমার প্রতি ওহী নাজিল করা হয়েছে।”
●মোসান্নাফে আবদ্ আল-রাযযাক, ৪র্থ খণ্ড, ২৯৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৮৬৫
●সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০৬; ২৬০৩ হাদীসেও বিদ্যমান।
●মুসনাদে ইমাম আহমদ, খন্ড-৫ম, পৃ-২৮৭ হা.নং২১৫০৮,
●সুনানে আবি দাউদ, ৭ম খণ্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৪২৮
●মিশকাত পৃঃ১৭৯,
●বায়হাকীঃ সুনানে বায়হাকী, খন্ড ১ম, পৃ-৭২,
●ইমাম বায়হাকী কৃত সুনানে কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, ৩০০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৮১৮২ ও ৮২৫৯
●ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানীঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:
͏●ইমাম মোল্লা আলী কারীঃ মিরকাত শরহে মিশকাত, খন্ড-৪র্থ, পৃ-২৯১,
●আসাদ আল-গাবা ফী মা’আরফাতেস্ সাহাবা, ১ম খণ্ড, ২১-২২ পৃষ্ঠা; ১৯৮৭ সালে লাহোর, পাকিস্তান প্রকাশিত।

📖৩ নং দলিল…

– حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى كُنْتُ مِنْ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ

নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা, ইব্রাহীম (عليه السلام) এর আওলাদ হতে ইসমাঈল (عليه السلام) কে নির্বাচন করেছেন। ইসমাঈল (عليه السلام) হতে কেনানাহকে নির্বাচন করেছেন এবং কেনানার বংশ হতে কুরাইশ, কুরাইশের বংশ হতে হাশেমকে নির্বাচন করেছেন আর আমাকে হাশেমের আওলাদ হতে নির্বাচন করেছেন।

●মুসলিম শরীফ, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ৫৮;
●তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং ৩৬০৫;
●মসনদে আহমদ, হাদীস নং ১৭০২৮;
●মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ১১/৪৭৮, হদীস নং ৩২৩৮৯।

📖৪নং দলিল…

হযরত উরওয়া ইবনে জুবায়ের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,

ﻗﺎﻝ ﻋﺮﻭﺓ ﻭﺛﻮﻳﺒﺔ ﻣﻮﻻﺓ ﻻﺑﻰ ﻟﻬﺐ ﻛﺎﻥ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﻋﺘﻘﻬﺎ ﻓﺎﺭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻠﻤﺎ ﻣﺎﺕﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﺭﻳﻪ ﺑﻌﺾ ﺍﻫﻠﻪ ﺑﺸﺮ ﺣﻴﺒﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎﺫﺍ ﻟﻘﻴﺖ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻟﻢ ﺍﻟﻖ ﺑﻌﺪﻛﻢ ﻏﻴﺮ ﺍﻧﻰ ﺳﻘﻴﺖ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺑﻌﺘﺎﻗﺘﻰ ﺛﻮﻳﺒﺔ

হযরত সুহাইবাহ (رضي الله عنه) আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব ওনার কাছে থেকে [রাসুল ﷺ] এর বেলাদাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে কৃতদাসী সুহাইবাহ (رضي الله عنه) কে আযাদ করে দিয়েছিল। যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ [হযরত আব্বাস (رضي الله عنه)] তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশ্যে বলেন,“তোমার অবস্থা কেমন?”
আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি, কেবল যে দিন [রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বেলাদতের খুশিতে] দাসী সুহাইবাকে আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে প্রতি সোমবার আংগুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে আমি ঐ পানি পান করে থাকি ঐদিন (জাহান্নামের কঠিন) আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।”

তথ্যসূত্রঃ

● সহিহ বুখারী : ২৬৪৪, ২৬৪৫, ২৬৪৬, ৩১০৫, ৪৭৯৬, ৫০৯৯, ৫১০০, ৫১০১, ৫১০৩, ৫১০৬, ৫১০৭, ৫১২৪, ৫১৩৩, ৫২৩৯, ৫৩৭২, ৬১৫৬
●ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ : হাদিস ২৫৯৫৩ উক্ত শিরোনামে لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأباها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن পুনরায় হাদিস ২৬৮৬৫, মতন :
ابنة أخي من الرضاعة وأرضعتني وأبا سلمة ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن
●ইমাম নাসাঈ : আস সুনানুল কুবরা : হাদিস ৫৩৯৪, ৫৩৯৫
●ইমাম নাসাঈ : আস সুনান আস-সুগরা : হাদিস ৩২৮৪, ৩২৮৫, ৩২৮৬, ৩২৮৭
●ইবনে মাজাহ : হাদিস ১৯৩৯ শিরোনাম( ابنة أخي من الرضاعة أرضعتني وأباها ثويبة فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن)
● মুসলিম : হাদিস ২৬৩৪, ২৬৩৫।
● সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪১১০, ৪১১১ হাদিসের মতন :
إن زينب تحرم علي وإنها في حجري وأرضعتني وإياها ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن ولا عماتكن ولا خالاتكن ولا أمهاتكن
اطراف الحدیث
●ইমাম বায়হাকী : সুনান আল কুবরা : বিবাহ অধ্যায়।
●জামেউল হাদিস : মাসানিদুস সাহাবা : হাদিস ৪৩৫৪৫।
●ইমাম বাগবি : শরহুস সুন্নাহ : ৯ম খন্ড : ৭৫ পৃ।
●ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : ৬ খন্ড, হাদিস ১৫৭২৫।
●মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ৭ম খন্ড, হাদিস ১৩৫৪৬।
●ইমাম আঈনী : উমদাতুল কারী শরহে বুখারী : ১৪ খন্ড, পৃ ৪৫।
●ইমাম ইবনে কাসীর : সিরাত আন নববিয়্যাহ : ১ম খন্ড , পৃ ২২৪।
●শরহে যুরকানী, ১ম খন্ড, ২৬১ পৃ।
●সুবলুল হুয়া ওয়ার রশদ : ১ম খন্ড, ৩৬৭ পৃ।
●ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী : ৭ম জিলদের ১২৫।
●ইবনুল কাইয়্যুম : তোহফাতুল মাওদুদ বি আহকাম আল মাওলুদ, ১৯ পৃ।
●ইবনে আব্দুল ওহাব, মুখতাসার সিরাতুর রাসূল, মাওলিদুন্নবী।

📖৫ নং দলিল…

হুজুর করিম (ﷺ) এর চাচা হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,

عَن الْعَبَّاس أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ:مَنْ أَنَا؟ فَقَالُوا: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ:أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ ثمَّ جعلهم فرقتَيْن فجعلني فِي خير فِرْقَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبيلَة ثمَّ جعله بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا فَأَنَا خَيْرُهُمْ نفسا وَخَيرهمْ بَيْتا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ-

-‘‘একদা তিনি হুযুর (ﷺ) এর নিকট ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আসলেন। কারণ তিনি যেন হুযুর করিম (ﷺ) এর বংশ বুনিয়াদ সম্পর্কে বিরূপ কিছু মন্তব্য শুনেছেন। [তা হুযুর করিম (ﷺ) কে অবহিত করলেন।] তখন হুজুর (ﷺ) মিম্বর শরীফের উপর আরোহন করলেন। অতঃপর তিনি সাহাবা কেরামগণের উদ্দেশ্যে বললেন “আমি কে?”
উত্তরে তাঁরা বললেন “আপনি আল্লাহর রাসূল”। তখন হুজুর আকরাম (ﷺ) এরশাদ করলেন “আমি আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিবের পুত্র মুহাম্মদ (ﷺ)। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মানব-দানব সবই সৃষ্টি করেছেন। এতেও আমাকে উত্তম পক্ষের [অর্থাৎ মানবজাতি] মধ্যে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাদেরকে [মানব জাতিকে] দু ভাগে বিভক্ত করেন [আরবীয় ও অনারবীয়]। এতেও আমাকে উত্তম ‘সম্প্রদায় [আরবীয়তে] প্রেরণ করেছেন। অতঃপর আরব জাতিকে বহু গোত্রে বিভক্ত করেন। আর আমাকে গোত্রের দিক দিয়ে উত্তম গোত্র [কুরাইশে] রেখেছেন করেছেন। তারপর তাদেরকে [কুরাইশকে] পুনরায় বিভিন্ন উপগোত্রে ভাগ করেছেন। আর আমাকে উপগোত্রের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ উপগোত্র [বনি হাশেমে] প্রেরণ করেছেন। সুতরাং আমি তোমাদের [তামাম সৃষ্টিজগতের] মধ্যে সত্ত্বাগত, বংশগত ও গোত্রগত দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ।’’

→ইমাম তিরমিযি এ সনদটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।
→আবূ হাসান এই হাদীসকে হাসান বলেছেন।
● তিরমিযী শরীফঃ কিতাবুল মানাকিব (গুণাবলীর বই), মহানবী (ﷺ) এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত অধ্যায়, হাদীস নং ৩৬০৮/৩৬১৬]
●মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৮৮,
●আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৭৫,
●মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩২২৯৬
●বায়হাকীঃ দালায়েলুল নবুওয়াতঃ ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ,
●কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ
●খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবিহ, – ৫১৩ পৃ.,
●আশরাফ আলী থানভীঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) : অধ্যায় ৪ : নবী প্রেমের দাবী : ৪৩ পৃ, বাড কম্প্রিন্ট & পাব্লিকেশনস।