০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরার ইছামতি নদীতে মিলনমেলা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন

 

সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ইছামতি নদীতে এবার অনুষ্ঠিত হলো শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন। তবে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে এ বছর আর হয়নি বাংলাদেশ-ভারতের মিলনমেলা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে যাত্রামঙ্গল শেষে বিকেল ৫টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করেন। নদীর বাংলাদেশের দেবহাটা টাউন শ্রীপুর ও ভারতের টাকি পৌরসভার ঘাটে একসঙ্গে বিসর্জন অনুষ্ঠিত হলেও মিলনমেলার প্রাণচাঞ্চল্য এবার অনুপস্থিত ছিল।

বিগত কয়েক দশক ধরে এই ইছামতি নদীজুড়ে দুই বাংলার হাজারো মানুষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নদীপাড়ে উভয় দেশের মানুষ ভিড় জমাত, নৌযানে তৈরি হতো উৎসবের আমেজ। তবে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে মিলনমেলা সীমিত হয়ে পড়লেও ভারতীয় পাড়ে নৌযান ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে পরিবেশ কিছুটা হলেও উৎসবমুখর থাকত। কিন্তু এবছর ভিন্ন আঙ্গিকে কড়া নজরদারির মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়।

বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিলনমেলা ছাড়াই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। নদীতে কোনো নৌযান চলাচল ছিল সীমিত পরিসরে।তবে দুই তীরজুড়ে ছিল হাজারো দর্শনার্থীর ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্পিডবোট ও কড়া নিরাপত্তায় পুরো এলাকা ছিল নজরদারির আওতায়।

বিসর্জন উপলক্ষে বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় দর্শনার্থীদের অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই পূর্বের ন্যায় দুই বাংলার মিলনমেলার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হোক।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

হরিরামপুরে বিএনপির পক্ষ হতে শারদীয় দূর্গা পূজায় বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন হাজী আব্দুল হান্নান মৃধা

সাতক্ষীরার ইছামতি নদীতে মিলনমেলা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

 

সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ইছামতি নদীতে এবার অনুষ্ঠিত হলো শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন। তবে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে এ বছর আর হয়নি বাংলাদেশ-ভারতের মিলনমেলা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে যাত্রামঙ্গল শেষে বিকেল ৫টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করেন। নদীর বাংলাদেশের দেবহাটা টাউন শ্রীপুর ও ভারতের টাকি পৌরসভার ঘাটে একসঙ্গে বিসর্জন অনুষ্ঠিত হলেও মিলনমেলার প্রাণচাঞ্চল্য এবার অনুপস্থিত ছিল।

বিগত কয়েক দশক ধরে এই ইছামতি নদীজুড়ে দুই বাংলার হাজারো মানুষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নদীপাড়ে উভয় দেশের মানুষ ভিড় জমাত, নৌযানে তৈরি হতো উৎসবের আমেজ। তবে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে মিলনমেলা সীমিত হয়ে পড়লেও ভারতীয় পাড়ে নৌযান ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে পরিবেশ কিছুটা হলেও উৎসবমুখর থাকত। কিন্তু এবছর ভিন্ন আঙ্গিকে কড়া নজরদারির মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়।

বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিলনমেলা ছাড়াই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। নদীতে কোনো নৌযান চলাচল ছিল সীমিত পরিসরে।তবে দুই তীরজুড়ে ছিল হাজারো দর্শনার্থীর ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্পিডবোট ও কড়া নিরাপত্তায় পুরো এলাকা ছিল নজরদারির আওতায়।

বিসর্জন উপলক্ষে বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় দর্শনার্থীদের অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই পূর্বের ন্যায় দুই বাংলার মিলনমেলার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হোক।