
জবিঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক সহকারী শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা,উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেই দুটি পদ বাতিল করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা অপরিহার্য। এই দুটি বিষয় শিক্ষার্থীদের মনন, সৃজনশীলতা, সহনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তা সত্ত্বেও এ পদ বাতিল করা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক শিক্ষার ধারণার পরিপন্থী।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. অনিমা রায় বলেন,
“প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষা কেবল বিনোদন নয়, এটি শিশুর মনন, মানসিক ভারসাম্য ও সৃজনশীল বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সৃজনশীলতার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করবে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদ পুনর্বহাল করার জন্য।”
অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের অন্যান্য সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সংগীত বিভাগের বিভিন্ন আবর্তনের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান প্রদর্শন করেন। সমাবেশ শেষে শান্ত চত্বর এলাকায় বক্তব্য পর্ব শেষে শিক্ষার্থীরা “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে” — এই রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। এরপর তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রতীকী র্যালি করেন।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবণী ব্যানার্জি (১৯তম আবর্তন) বলেন,
“শিক্ষক নিয়োগের খবরটা শোনার পর সংগীত বিভাগে পড়াশোনা করার একটা ইতিবাচক দিক মনে করতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু নিয়োগ বাতিল হওয়ার খবর শুনে সেটা এক মুহূর্তে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদ পুনর্বহালের মাধ্যমে মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনের এই দাবিকে তারা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন।
জবি প্রতিনিধি,মোঃ রাসেল খান: 


















