স্টাপ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় বড়াই গ্রামে আপন খালা কে হত্যার অভিযোগে ভাগিনা আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ২:৩০ মিনিটে অভিযুক্ত আসামি আলমগীরকে ঘিওর উপজেলার জাবরা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে নিহত হারুনি বেগমের ছেলে মোঃ সুমন মিয়া রাত ১২ টার সময় আলমগীর কে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামি আলমগীর পৌর এলাকার বড়াই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর হারুনি বেগম মেয়ে সুমি আক্তার ও ছেলে সুমনকে নিয়ে বড়াইগ্রাম বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। হারুনি বেগমের বড় বোন বিমলা বেগম তার ছেলে আলমগীরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বাবার বাড়িতে দুই বোন আলাদা ঘরে বসবাস করলেও বাড়ির প্রবেশ পথ নিয়ে মাঝেমধ্যে দুজনের সাথে ঝগড়া -বিবাদ হতো। বৃহস্পতিবার বাড়ির প্রবেশ পথ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হলে ভাগিনা আলমগীর ইট দিয়ে তার আপন খালা হারুনী বেগমের মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন হারুনি বেগমকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু হারুনি বেগমের শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে দায়িত্বরত ডাক্তারগণ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য পরামর্শ দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে হারুনী বেগম মৃত্যুবরণ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, মামলা রুজ হওয়ার আড়াই ঘন্টার মধ্যেই মানিকগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কোহিনূর মিয়া, এস আই টুটুল ও এএসআই ইমরান আলী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হউন। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে। পরে নিয়ম অনুযায়ী তাকে আদালতে পাঠানো হয়।