০২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈরে লাইসেন্স দেয়ার নামে অটোরিকশা আটকে চাঁদাবাজি অভিযোগ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৫:০৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ৮২২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মনির হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা আটক করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে। এসময় তারা চাঁদা না দিলে সড়কে অটোরিকশা চালানো বন্ধের হুমকি দেন অসহায় চালকদের।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক।

ভুক্তভোগী অটোরিকশা মালিক-চালক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের মহরাবহ হতে আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ব্যটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। হঠাৎ হিজলহাটি ফার্ম বাজার এলাকায় কয়েকজন মিলে আটাবহ ইউনিয়ন রিকশা ও ভ্যান মালিক সমবায় সমিতি নামে একটি অফিস খুলেন। পর ওই সমিতির নেতারা কিছুদিন ধরে তাদের অফিসের সামনে হিজলহাটি ফার্ম এলাকায় সড়কে চলাচলরত রিকশার গতিরোধ করে লাইসেন্সের নামে চাঁদাবাজী করে আসছে। অটোরিকশা আটক করে ওই সমিতির নেতারা চালকদের কাছে লাইসেন্সের (প্লেট নাম্বার) নামে অটোরিকশা প্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আদায় করছেন। লাইসেন্সের নামে চাহিদা মতো চাঁদার টাকা না দিলে ওই সড়কে অটোরিকশা চালানো বন্ধের হুমকিও দেন সমিতির নেতারা। এর ধারাবাহিকতায় ওই সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীর নেতৃত্বে হালিম ও রউফ জারপূর্বক অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজগর আলী বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ লিখিত অভিযাগ জমা দেন।

ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজগর আলী, সওকত হাসন, পাখি মিয়া, মজিবুর রহমানসহ আরো অনেকেই বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স (প্লেট নাম্বার) নিয়ে এতদিন কোন প্রকার চাঁদা ছাড়াই ওই সড়কে বিনা বাঁধায় আমরা অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলাম। কি যেন হঠাৎ করেই কিসের একটা সমিতি খুলে লাইসেন্সের নামে  থেকে দেড় হাজার টাকা নিচ্ছে। টাকা না দিলে অটোরিকশা আটক ও চালানো বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। আমরা অসহায় অটোরিকশা চালকেরা কত জায়গায় টাকা দিবো? রিকশা চালিয় তা ঠিকমতো আমাগো সংসারই চলতে চায় না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আটাবহ ইউনিয়ন রিকশা ও ভ্যান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে কেউ টাকা নিতে পারেন না। যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে বিধি মোতাবেক প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

কালিয়াকৈরে লাইসেন্স দেয়ার নামে অটোরিকশা আটকে চাঁদাবাজি অভিযোগ

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:০৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ মনির হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা আটক করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে। এসময় তারা চাঁদা না দিলে সড়কে অটোরিকশা চালানো বন্ধের হুমকি দেন অসহায় চালকদের।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক।

ভুক্তভোগী অটোরিকশা মালিক-চালক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের মহরাবহ হতে আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ব্যটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। হঠাৎ হিজলহাটি ফার্ম বাজার এলাকায় কয়েকজন মিলে আটাবহ ইউনিয়ন রিকশা ও ভ্যান মালিক সমবায় সমিতি নামে একটি অফিস খুলেন। পর ওই সমিতির নেতারা কিছুদিন ধরে তাদের অফিসের সামনে হিজলহাটি ফার্ম এলাকায় সড়কে চলাচলরত রিকশার গতিরোধ করে লাইসেন্সের নামে চাঁদাবাজী করে আসছে। অটোরিকশা আটক করে ওই সমিতির নেতারা চালকদের কাছে লাইসেন্সের (প্লেট নাম্বার) নামে অটোরিকশা প্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আদায় করছেন। লাইসেন্সের নামে চাহিদা মতো চাঁদার টাকা না দিলে ওই সড়কে অটোরিকশা চালানো বন্ধের হুমকিও দেন সমিতির নেতারা। এর ধারাবাহিকতায় ওই সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীর নেতৃত্বে হালিম ও রউফ জারপূর্বক অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজগর আলী বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ লিখিত অভিযাগ জমা দেন।

ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজগর আলী, সওকত হাসন, পাখি মিয়া, মজিবুর রহমানসহ আরো অনেকেই বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স (প্লেট নাম্বার) নিয়ে এতদিন কোন প্রকার চাঁদা ছাড়াই ওই সড়কে বিনা বাঁধায় আমরা অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলাম। কি যেন হঠাৎ করেই কিসের একটা সমিতি খুলে লাইসেন্সের নামে  থেকে দেড় হাজার টাকা নিচ্ছে। টাকা না দিলে অটোরিকশা আটক ও চালানো বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। আমরা অসহায় অটোরিকশা চালকেরা কত জায়গায় টাকা দিবো? রিকশা চালিয় তা ঠিকমতো আমাগো সংসারই চলতে চায় না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আটাবহ ইউনিয়ন রিকশা ও ভ্যান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সিরাজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, লাইসেন্সের নামে অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে কেউ টাকা নিতে পারেন না। যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে বিধি মোতাবেক প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।