০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৫:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ২৯১ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ঊঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার (৫অক্টোবর) দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে স্কুলের এক জরুরী সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক মো: ফিরোজ হোসেন স্কুলের ল্যাবরেটরিতে খাতা গণনার কথা বলে ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় ওই শিক্ষক ল্যাবরেটরির ভেতর ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ওই ছাত্রী অনেক জড়াজড়ির পর ল্যাবরেটরি থেকে অনেক কষ্টে দৌড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে। এ ঘটনা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষককে ৭ দিনের বাধ্যতামুলক ছুটি প্রদান করেন এবং ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ভিকটিমের মা ক্ষোভের সাথে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমিতো আগে জানতাম না ওই শিক্ষক এত খারাপ। আমার মেয়েকে সে একাধিকবার খারাপ কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করেছে। এইবারের এই ঘটনা জানার পর বুঝতে পারলাম এই জন্যেই আমার মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না। আমি ওই লম্পট শিক্ষক ফিরোজের সাময়িক বরখাস্ত নয় একবারে বরখাস্তসহ কঠিন শাস্তি কামনা করি। যাতে আর কোন ছাত্রীর সাথে এরকম ঘটনা ঘটানোর কোন সুযোগ না পায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের জন্য ফোন করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো: আবুল বাসার জানান, আমি বিষয়টি শুনার পর ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। তদন্ত কমিটি আজকে আমার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জরুরীভাবে সভা ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি একটু আগে হাতে পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনটি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মানিকগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ঊঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার (৫অক্টোবর) দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে স্কুলের এক জরুরী সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক মো: ফিরোজ হোসেন স্কুলের ল্যাবরেটরিতে খাতা গণনার কথা বলে ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় ওই শিক্ষক ল্যাবরেটরির ভেতর ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ওই ছাত্রী অনেক জড়াজড়ির পর ল্যাবরেটরি থেকে অনেক কষ্টে দৌড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে। এ ঘটনা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষককে ৭ দিনের বাধ্যতামুলক ছুটি প্রদান করেন এবং ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ভিকটিমের মা ক্ষোভের সাথে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমিতো আগে জানতাম না ওই শিক্ষক এত খারাপ। আমার মেয়েকে সে একাধিকবার খারাপ কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করেছে। এইবারের এই ঘটনা জানার পর বুঝতে পারলাম এই জন্যেই আমার মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না। আমি ওই লম্পট শিক্ষক ফিরোজের সাময়িক বরখাস্ত নয় একবারে বরখাস্তসহ কঠিন শাস্তি কামনা করি। যাতে আর কোন ছাত্রীর সাথে এরকম ঘটনা ঘটানোর কোন সুযোগ না পায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের জন্য ফোন করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো: আবুল বাসার জানান, আমি বিষয়টি শুনার পর ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। তদন্ত কমিটি আজকে আমার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জরুরীভাবে সভা ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি একটু আগে হাতে পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনটি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।