০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৬:১১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ব্যবসায়ী মো: আলম হোসেন (৩৫) হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রধান করেছেন আদালত । সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জ্যাইল্যা গ্রামের মো: আ: রশিদের ছেলে শাহীনুর রহমান, একই উপজেলার দাসেরহাটি এলাকার আহম্মেদ দেওয়ানের ছেলে লিটন, একই গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে রিপন এবং দক্ষিণ চারিগ্রাম এলাকার মমেজ উদ্দিনের ছেলে উজ্জ্বল।

এর মধ্যে আসামী শাহীনুর ও লিটন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রিপন ও উজ্জ্বল দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে আদালত এই রায় দেন। একই মামলার আসামী শহীদুল ইসলামের নিকট থেকে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও তা প্রমাণ হওয়ায় তাকেও ২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ী যাওয়ার সময় সিংগাইর উপজেলার দাসেরহাটি এলাকায় খুন হন আলম হোসেন। সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম এলাকার মৃত মালু বেপারীর ছেলে আলম হোসেন চারিগ্রাম বাজারের টেইলার্স ব্যবসায়ী ছিলেন।খুন হওয়ার পর আলমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান আসামীরা। ঘটনার পরদিন ভোরে ব্রীজের পাশে আলমের লাশ দেখে বাড়ীতে খবর দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন সিংগাইর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান দেওয়ান মাজহারুল হক।

এরপর যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসামী শহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ভিকটিম আলমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে সিংগাইর থানা পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক এক করে গ্রেফতার হয় মামলার সকল আসামীরা। ভিকটিম আলম হোসেনের মোটরসাইকেল চুরির পরিকল্পনা থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে আদালতে জবানবন্দি দেন আসামীরা।

২০০৬ সালের ৩১ আগষ্ট ৫ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন সিংগাইর থানার তৎকালীন এস আই মো: আইয়ুব খান। বিচারক সাক্ষ্য প্রমান শেষে মামলার দুইজন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই মামলায় পলাতক রয়েছে আরও দুই জন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মথুর নাথ সরকার। আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মেজবাউল হক মেজবা এবং আইনজীবী খলিলুর রহমান।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময়ঃ ০৬:১১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ব্যবসায়ী মো: আলম হোসেন (৩৫) হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রধান করেছেন আদালত । সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জ্যাইল্যা গ্রামের মো: আ: রশিদের ছেলে শাহীনুর রহমান, একই উপজেলার দাসেরহাটি এলাকার আহম্মেদ দেওয়ানের ছেলে লিটন, একই গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে রিপন এবং দক্ষিণ চারিগ্রাম এলাকার মমেজ উদ্দিনের ছেলে উজ্জ্বল।

এর মধ্যে আসামী শাহীনুর ও লিটন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রিপন ও উজ্জ্বল দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে আদালত এই রায় দেন। একই মামলার আসামী শহীদুল ইসলামের নিকট থেকে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও তা প্রমাণ হওয়ায় তাকেও ২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ী যাওয়ার সময় সিংগাইর উপজেলার দাসেরহাটি এলাকায় খুন হন আলম হোসেন। সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম এলাকার মৃত মালু বেপারীর ছেলে আলম হোসেন চারিগ্রাম বাজারের টেইলার্স ব্যবসায়ী ছিলেন।খুন হওয়ার পর আলমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান আসামীরা। ঘটনার পরদিন ভোরে ব্রীজের পাশে আলমের লাশ দেখে বাড়ীতে খবর দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন সিংগাইর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান দেওয়ান মাজহারুল হক।

এরপর যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসামী শহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ভিকটিম আলমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে সিংগাইর থানা পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক এক করে গ্রেফতার হয় মামলার সকল আসামীরা। ভিকটিম আলম হোসেনের মোটরসাইকেল চুরির পরিকল্পনা থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে আদালতে জবানবন্দি দেন আসামীরা।

২০০৬ সালের ৩১ আগষ্ট ৫ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন সিংগাইর থানার তৎকালীন এস আই মো: আইয়ুব খান। বিচারক সাক্ষ্য প্রমান শেষে মামলার দুইজন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই মামলায় পলাতক রয়েছে আরও দুই জন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মথুর নাথ সরকার। আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মেজবাউল হক মেজবা এবং আইনজীবী খলিলুর রহমান।