আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ ইং

শিবালয় রাতের আধারে ইছামতি নদীর মাটি চুরি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : রাতের আধারে ইছামতি নদীর মাটি চুরির করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাটি খেকো আলামীন ও ইলিয়াসের  বিরুদ্ধে।

মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের শশীনাড়া এলাকায় ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে, আলামীনের জায়গা ভরাট ও বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে একটি কু—চক্র মহল দীর্ঘদিন ধরেই রাতের আধারে মাটি কেটে বিক্রি করছে। এছাড়া মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাদের এ কাজে পরোক্ষ সহযোগিতা করে আসছেন । যার কারণে চক্রটির প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না কেউ। গত রবিবার শশীনাড়া এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ও মাটি খেকো চক্রের, আলামীন, ইলিয়াস,  ইছামতি নদী ভেকু বসিয়ে রাতের আধারে মাটি ভুক্তভোগীরা এ নিয়ে দিন—রাত আতঙ্কিত থাকলেও প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে বালুদস্যুদের তৎপরতা থামছেই না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, রাত ১১টার পর থেকে রাত ভর মাটি কাটে ড্রাম ট্রাকে করে নিয়ে যায়। যে ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে আমরা ভয়ে আছি যে ‘বর্ষায় ব্যক্তিমালিকানাধীন  সম্পত্তি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি।  আমরা সাধারণত জানি আইনানুযায়ী ওই জমি নদী সিকস্তি খাস হিসেবে গণ্য হয়। যদি তাই হয় নদীর সিকস্তি খাসজমি থেকে ভেকু বসিয়ে বালু/মাটি কাটা এবং তা বিক্রির উদ্দেশ্যে মাটিভর্তি করে ড্রাম ট্রাকে নিয়ে বিক্রি স্থানে পৌছে দেয়।

এবিষয়ে মাটি খেকো আলমীনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি কোথায় আছেন, আপনি আমার অফিসে আসেন বসে কথা বলি।

ওপার থেকে মাটি খেকো ইলিয়াস মুঠো ফোনে বলেন, আপনি যদি পারেন ভেকু ভাঙ্গান, আমরা দেখতে চাই।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার তার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ইছামতি নদী থেকে অবৈধ ভাবে ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই, যদি কেউ করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ