আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

মোদিকে তিন দিন ‘সময় দিলেন’ মমতা, এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর, আবারও দিল্লিতে ধর্না

অনলাইন ডেক্স: একশো দিনের কাজ সহ কেন্দ্রের কাছ থেকে একাধিক প্রকল্পে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য৷ একাধিক অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন কর্মসূচির মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক প্রত্যেকের মুখেই বারবার শোনা গিয়েছে এই কথা৷ সেই বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবি নিয়ে দিল্লিতে গত অক্টোবর মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছেন অভিষেক সহ তৃণমূলের অন্য সাংসদ-বিধায়কেরা৷ পরে ধর্না দেন কলকাতায় রাজভবনের সামনেও৷ কিন্তু, তারপরেও হয়নি সুরাহা৷ এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মমতা৷ বললেন, ‘‘১৮, ১৯, ২০ এই তিন দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন আমি সময় (প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার) চেয়েছি। এই তিন দিন আমি থাকব দিল্লিতে, তখন যদি সময় না দেয়, তাহলে দেখা যাবে।’’

বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী নয়াদিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে ১৮, ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর থাকার কথা তাঁর৷ কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা নিয়ে আলোচনা করতে এই তিনদিনের মধ্যে একদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এদিন সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলার আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন টাকা যেটা দিচ্ছে না কেন্দ্র৷ আমাদের যে শেয়ার আছে সেই টাকা অন্তত আমাকে দিক। ১৮, ১৯, ২০ তে আমি সময় চেয়েছি। যদি না সময় দেয়, আমি ১৭ তারিখ দিল্লি যাচ্ছি। ১৮, ১৯, ২০ এই তিন দিন আমি থাকব দিল্লিতে, তখন যদি সময় না দেয় তাহলে দেখা যাবে।’’

তাহলে, আবারও কি দিল্লিতে কোনও ধর্না কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে তৃণমূল? নাকি এবার তাঁদের রণকৌশল অন্য? প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরেই এই বকেয়া টাকা আদায়ের দাবি নিয়ে দিল্লিতে অভিষেকের নেতৃত্বে ধর্না দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা-সাংসদেরা৷ বঞ্চিতদের চিঠি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার সময়ও চেয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু, তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেই মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে চলে যান৷

অথচ, তার কিছুক্ষণ আগেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মন্ত্রী৷ যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ বারবার খারিজ করেছেন সাধ্বী নিরঞ্জন৷ তাঁর দাবি, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, অথচ, তাঁরাই নাকি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি৷

দিল্লি থেকে ফেরার পরে কলকাতায় রাজভবনের সামনেও মঞ্চ বেঁধে ধর্না কর্মসূচি করেন অভিষেক৷ শেষ মেশ, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল৷ রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় বঞ্চিতদের চিঠি৷ সেই সময় এই সমস্যার সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ