মো: আনোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা উলাইল ইউনিয়নের দশচিড়া গ্রামের অবস্থিত সরকারি টেকনিকেল স্কুল ও কলেজের পাঁচতলার ভবনের পিছনে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ভবনকে হুমকির মুখে ফেলছে স্থানীয় মাটির ব্যবসায়ীরা। যে কোন সময় পাঁচ তলা এই ভবনটি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি টেকনিকেল স্কুল ও কলেজ ভবনের নিকট থেকে অবৈধ ভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটায় ভবনটি হুমকির মুখে পরেছে যে কোন সময় ভবনটি ধসে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক মাস হতে সারাদিন-সারারাত অবদি অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে আমাদের তিন ফসলি জমি ও মাটির গাড়িতে মাটি বহন করায় কৃষিজমি ফসলি ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।ভেকু ব্যবসায়ী আলমাছ মোল্লা সবাইকে ভয়ভিতী দেখিয়ে দীর্ঘদিন এ অবৈধ ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিজামের ছেলে পলাশ প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা।
ভেকু ব্যবসায়ী মোঃ আলমাস মোল্লা জানান, স্কুলের পাশে অবস্থিত নিজামের ছেলে পলাশের জায়গা, কয়েক দিন আগে পলাশ আমাকে স্কুলের পিছন থেকে মাটি কেটে সামনের জায়গাটি ভরাট করার কথা বলে। আমি তার কথামতো চুক্তিতে স্কুলের পাঁচ তলার ভবনের পিছন থেকে মাটি কেটে জায়গাটি ভরাট করে দিচ্ছি । উপজেলা প্রসাশনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কারো সাথে কোন যোগাযোগ করিনি।
এ বিষয়ে সরকারি টেকনিকেল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র দেবনাথের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে স্কুলের ভবনটির ১৫ ফিট বাদ রেখে মাটি কাটতে বলেছি। ভবনের ক্ষতি হলে আমি কি করবো ।আমার কিছু করার নেই।
শিবলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড মোঃ আনিছুর রহমান জানান, অবৈধ ভেকু দ্বারা তিন ফসলি জমির মাটি কাটার কোন অনুমতি নাই। যদি কেউ কেটে থাকে আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।