আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ ইং

অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মো: আনোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের সভাপতি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তেওতা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ধুবলিয়া জাহিদ শেখের বাড়ি হতে কাঁলাচানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুন:নির্মানের জন্য ১ম পর্যায়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৫ জন শ্রমিকের বিপরীতে সরদারি ভাতাসহ ৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রকল্পের কাজ গত বছর ১৮ নভেম্বর শুরু হয়ে চলিত বছর ৭ জানুয়ারী শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের প্রতিদিন ৪৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের সভাপতি ৩৮ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন। একজন শ্রমিকের প্রতিদিন মজুরী ৪শত টাকা। প্রতিদিন ৭ জন শ্রমিক কম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকল্পের সভাপতি। সে হিসেবে প্রতিদিন ২ হাজার ৮শত টাকার কাজ কম হলে ৪০ দিনে মোট ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার কাজ কম হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এজন্য উপজেলার প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তার তদারকির পাশাপশি ইউনিয়নে আরও একজন সরকারি কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকেন। প্রতিদিন কতজন শ্রমিক উপস্থিত থাকেন এবং প্রতিদিনের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে ওই কর্মকর্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে দিনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে প্রকল্পের সভাপতি। মনগড়া ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচির কাজ।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নাম না বলা শর্তে একাধিক শ্রমিকরা জানান, আমরা যে কয়জনেই কাজ করিনা কেন,হাজিরা খাতায় ৪৫ জনের উপস্থিতি দেখায়। সরকারি কোন লোক এসে এখানে ঠিকমত তদারকি করে না।
প্রকল্পের সভাপতি ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি এই কাজে শ্রমিক কম নিয়ে কাজ করছি না।
তেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, প্রকল্পের সভাপতি যদি কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে হাজিরা খাতায় বেশি উপস্থিতি দেখায় তাহলে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুদেবকৃষ্ণ বলেন, আমার সহকারি না থাকায় প্রকল্পের সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না। যদি অনিয়ম করে থাকে তাহলে তাদের বিল আটকিয়ে দিব।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বেলাল হোসেন বলেন, প্রকল্পের বিল দেওয়ার সময় আমরা যাচাই-বাছাই করে দিব। কাজ না করা শ্রমিকদের বিল পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ