সেমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার ক্রাইম অ্যান্ড অবস এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফরিদপুর জেলা সদরের হাবিবুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ মোনা (৩০), একই থানার তালতলা এলাকার সালাম খন্দকারের ছেলে সজীব খন্দকার (৩৩)। এঘটনায় চক্রের প্রধান নাসির খাঁ পলাতক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চক্রটি সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে বিভিন্নভাবে বিক্রি করতেন। চক্রের প্রধান নাসির খাঁকে এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল চুরির মামলায় আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আরাফাত হোসেন গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান। নাসির খাঁ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠালে গত ১৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। জামিনে আসার সাত দিন পরেই জামগড়ার শিমুলতলা এলাকার একটি বিয়ে বাড়ি থেকে মেহমান সেজে ইয়ামাহা কোম্পানির (আর ওয়ান-৫, ভার্সন-৩) একটি মোটরসাইকেল চুরি করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে অভিযান পরিচালনা করে ফরিদপুর জেলার বঙ্গেশরদী প্রথমে আসামি মো. সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে নুর মোহাম্মদের শ্বশুরবাড়ি থেকে চুরিকরা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি মাস্টার কি (প্রধান চাবি) ও মোটরসাইকেলের তালা ভাঙ্গার অপর একটি চাবি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা ২০২০ সাল থেকে একটি চক্র গঠন করে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম সায়েদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরী অমিত সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল চুরি মামলায় চক্রের প্রধান নাসির খাঁ’কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। গত ১৯ জানুয়ারি জামিনে এসে ২৬ জানুয়ারি ফের মোটরসাইকেল চুরি করে নাসির ও তার সহযোগীরা।