০২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৩:৩০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪২৭ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুর রহমান : ঢাকার জেলার ধামরাই অবস্থিত আবুল বাশার কৃষি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পুনর্বহাল দাবিতে চার শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে কলেজে হামলা, পাঠদানে বাধা প্রদান ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছে।

২৫ তারিখ রোববার বেলা১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  হামলাকারী তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় হিসাব নিকাশ ও বিবিধ ঘটনা প্রবাহ নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় ১ জানুয়ারি রঘুনাথপুর আবুল বাশার কৃষি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ রওশনারার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম। পরে সিনিয়র সহকারী প্রভাষক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকেই অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের অনুসারী কয়েকজন ছাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মেনে নিতে নারাজ। পরে রোববার বেলা ১০ টার দিকে মোস্তফা কামাল, ইফতেখার আমিন ও রাব্বি হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধা প্রদান করে।

এ সময় শিক্ষকরা কারণ জানার জন্য তাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে হামলাকারী ওই ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাদেরকে মারধর করে। এতে কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মো. শামস উদ্দিন ও কম্পিউটার সাইন্সের শিক্ষক মো. মাহবুব আলম হামলার শিকার হয়ে গুরুতে আগত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম।

আটক তিন শিক্ষার্থী জানায়, আমরা আমাদের সেশন ফি ৫ হাজার টাকার স্থলে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ
ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে পুনর্বহালের দাবি জানাই। আমরা শিক্ষকদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেই।

হামলার শিকার শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন ও মাহবুব আলম বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারী ওই ছাত্ররা কলেজে হামলা ও পাঠদানে বাধা প্রদান করে। আমরা এগিয়ে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদেরকেও মারধর করে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ রওশনারার কাছে দিলে রিজাইন লেটার জমা দিলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে সাবেক অধ্যক্ষ আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ হামলা পাঠদানে বাধা প্রদান ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মিলনায়তনে একজন শিক্ষক আমার উপস্থিতিতে টেবিল থাপড়িয়ে  কথা বলায় আমি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রওশনারার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেই। হামলার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে এ ব্যাপারে মামলা নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

বিকেএসপি’তে  আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক জুডো প্রতিযোগিতা শুরু

ধামরাইয়ে ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

প্রকাশের সময়ঃ ০৩:৩০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মাসুদুর রহমান : ঢাকার জেলার ধামরাই অবস্থিত আবুল বাশার কৃষি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পুনর্বহাল দাবিতে চার শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে কলেজে হামলা, পাঠদানে বাধা প্রদান ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছে।

২৫ তারিখ রোববার বেলা১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  হামলাকারী তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় হিসাব নিকাশ ও বিবিধ ঘটনা প্রবাহ নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় ১ জানুয়ারি রঘুনাথপুর আবুল বাশার কৃষি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ রওশনারার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম। পরে সিনিয়র সহকারী প্রভাষক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকেই অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের অনুসারী কয়েকজন ছাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মেনে নিতে নারাজ। পরে রোববার বেলা ১০ টার দিকে মোস্তফা কামাল, ইফতেখার আমিন ও রাব্বি হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধা প্রদান করে।

এ সময় শিক্ষকরা কারণ জানার জন্য তাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে হামলাকারী ওই ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাদেরকে মারধর করে। এতে কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মো. শামস উদ্দিন ও কম্পিউটার সাইন্সের শিক্ষক মো. মাহবুব আলম হামলার শিকার হয়ে গুরুতে আগত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম।

আটক তিন শিক্ষার্থী জানায়, আমরা আমাদের সেশন ফি ৫ হাজার টাকার স্থলে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ
ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে পুনর্বহালের দাবি জানাই। আমরা শিক্ষকদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেই।

হামলার শিকার শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন ও মাহবুব আলম বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারী ওই ছাত্ররা কলেজে হামলা ও পাঠদানে বাধা প্রদান করে। আমরা এগিয়ে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদেরকেও মারধর করে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ রওশনারার কাছে দিলে রিজাইন লেটার জমা দিলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে সাবেক অধ্যক্ষ আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ হামলা পাঠদানে বাধা প্রদান ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মিলনায়তনে একজন শিক্ষক আমার উপস্থিতিতে টেবিল থাপড়িয়ে  কথা বলায় আমি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রওশনারার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেই। হামলার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে এ ব্যাপারে মামলা নেওয়া হবে।