আজ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ভোটারদের মন জয় করেছেন রেজাউর রহমান খান জানু

মো: আনোয়ার হোসেন( মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস—চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচার-প্রচারনার অংশ হিসেবে হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দির, পাড়া মহল্লায় ব্যাপক গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
আগামী ২৩ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকায় আছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান জানু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান ও মোবারক হোসেন খান (পান্নু) চেয়ারম্যান পদে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছে । ভোটারদের আগ্রহ কে হতে যাচ্ছেন আগামী দিনের উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
নিবার্চনী বিষয় আগাম হিসেব কষতে শুরু করেছেন উপজেলার সাধারন ভোটাররা। ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলা।

এর মধ্যে আলোচনার শীর্ষে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ক্লিন ইমেজের স্পষ্টভাষী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান (জানু)। নিয়মিত পরিষদের অফিস করা ও সদালাপী হওয়ার কারনে উপজেলার সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।
এছাড়া গত পাঁচ বছরে সরকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরের ভিশনের ধারা বাহিকতায় ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসাসহ চরাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যার কৃতিত্ব উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দাবিদার। এ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান (জানু) দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক ঐতিহ্য মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের স্বাধীনতার সাথে আঙ্গা-আঙ্গি ভাবে জড়িত।
দেশকে স্বাধীন করতে একই পরিবারের ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন অস্ত্র হাতে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। তার বড় ভাই প্রয়াত বীর মক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খান সাবেক এমপি ছিলেন। ছোট ভাই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান খান (সুলতান) একাধারে ২ যুগের বেশি সময় আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত-সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তার ভাইয়ের ছেলে মুন্তাকিম রহমান খান (অনিক) আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

চরাঞ্চলের বাসিন্দা মোতালেব মোল্লা, মানিক, আফজাল, বলেন, আমরা ভোট দিমু জানু কাকারে। বিপদে-আপদে সবসময় জানু কাকারে পাশে পাই। জানু কাকা সৎ মানুষ। উনার কাছে আমরা সহজেই যাইতে পারি। পরিষদের অফিসে থাকেন সবসময়। যেকোনো প্রয়োজনে ফোন দিলেই কাছে পাই আমরা। খানপুর এলাকার সুলতানা আক্তার বলেন, জানু কাকার আগেও ২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলো। কেউ কোন কাজ করে নাই, জানু কাকা চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকার অনেক উন্নয়ন হইছে। যহন তহন তারে বিপদে আপদে ডাকলেই পাওয়া যায়। এইবারো আমরা জানু কাকারেই ভোট দিমু। ভাকলা এলাকার রাজ্জাক বলেন, দলমতের উর্দ্ধে থেকে সবসময় জানু ভাই সকল মানুষের পাশে থাকেন। তার কাছে যাইতে কারো দালাল ধরতে হয় না বা দেখা করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় না। যখন খুশি তখন যাওয়া যায়।
তিনি অনেক আন্তরিক মানুষ এবারও বিপুল ভোটে জানু ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। টেপড়া এলাকার রোজি আক্তার বলেন, আমি গর্ভবতী ভাতার জন্য এর দুয়ার ওর দুয়ারে ঘুরছিলাম কিন্তু কোন কাজ হচ্ছিলো না। এরপর উপায়ান্ত না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি আমার ভাতা কার্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দেন। উনি অনেক ভালো মানুষ এবারও বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন এমনটাই আশা প্রকাশ করেন। মহাদেবপুর ইউনিয়নের বিকাশ দাস বলেন, জানু দাদা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় মসজিদ-মন্দির সব জায়গায় উন্নয়ন করছে। তিনি সৎ-সাহসী একজন চেয়ারম্যান। সব সময় অন্যায়ের বিপক্ষে লড়ে যান তিনি। জানু দাদারে ভোট দিমু না, তো কারে আমরা ভোট দিমু। আমরা জানু দাদার উপর ভরসা রাখি সবসময়। উনারেই ভোট দিমু আমরা সবাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান (জানু) বলেন, একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রহাতে রণাঙ্গনে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার সকল শ্রেণী পেশায় মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আরেকটি যুদ্ধ করছি। উপজেলা বাসীর জীবন-মান আরও উন্নয়নে আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যেতে চাই। আশাকরি উপজেলার জনগণ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে তাদের পাশে থাকার সুযোগ করে দেবেন।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ