
স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনর উপর হামলাকারীদের নামে থানায় অভিযোগ করার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এতে থানা পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে সাংবাদিক মহলে।
সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন দৈনিক আমার সংবাদ ও এশিয়া টেলিভিশনের শিবালয় উপজেলা প্রতিনিধি।
জানা যায়, ৬ এপ্রিল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রির ঈদ উপহার হিসেবে ১০ টাকা কেজি দরে ১৩ টন চাউল হতে ২ টন চাউল কম আসে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে। ২ টন চাউল কম এসেছে এই তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী টুলু, মোঃ শিমুল মিয়া ও তাদের পেটুয়া বাহিনী অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন মিলে ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, একপর্যায়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে তার হাতে থাকা প্যানাসনিক মডেল ক্যামেরা, তার গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়া নিয়ে যায়। আবার এ বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করে।
এঘটনায় গত ৬ এপ্রিল সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন ও তিন হামলাকারীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও শিবালয় থানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেননি। এমনকি মামলার তদন্তেরও কোন অগ্রগতিও হয়নি।
সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন জানায়, ক্ষমতাসীন দলের সতন্ত্র সংসদ সদস্য এস এম জাহিদের কর্মীরা আমাকে তথ্য সংগ্রহ করতে না দিয়ে আমার সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা করার পর আসামিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে থানা চত্বর দিয়ে ঘুরে বেড়ালেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জেলার সাংবাদিকরা মনে করেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। হামলা চালিয়ে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের উপর হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাংবাদিক মহল।
এ বিষয়ে শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ সরকার বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।