আজ ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ ইং

পিটিআই ইনস্ট্রাক্টরের কূকীর্তি সংবাদ সম্মেলনে ফাঁস করল স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জ পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর বরিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে অন্য নারীর প্রতি আসক্তসহ পরোক্রিয়ার কারণে সংসার ভাংগার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক সন্তানের জননী পাপিয়া আক্তার।
বৃহস্পতিবার ( ২ মে) দুুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে স্বামীর দ্বারা নির্যাতনসহ অন্যায় ও অপকর্মের ন্যায় বিচারের দাবীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রবিউলের বেকার অবস্থায় ভালো বেসে তারা ২০১৭ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের ১০ মাস পর স্বামীর চাকুরি হয় পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। স্বামীর কর্মস্থল ফেনিতে যোগদান করেন। ২০২০ সালে এক নারী শিক্ষকের সাথে কেলেংকারী ঘটনার পর তার স্বামীকে পটিয়াতে বদলী করা হয়। পটিয়াতে যাওয়ার পর ওই নারী শিক্ষক ( ফেনির ফুলগাজী পশ্চিম বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তার) এর সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। ওই নারীর সাথে পরোক্রিয়ার সম্পর্ক জানার পর পাপিয়া আক্তার তার স্বামী রবিউলকে সংশোধনের চেস্টা করে। এতে রবিউল তার উপর শারীরিক ও মানুষিকভাবে অমনোবিক নির্যাতন অত্যাচার করতে থাকে। এর পর তিনি স্বামীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে ওই নারীর কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেওয়ার হয় যাতে তারা আর কোনো সম্পর্কে না জড়ান। এর পর ২০২৩ সালে জুলাই মাসে তার স্বামীকে মানিকগঞ্জ পিটি আইতে বদলী করা হয়। মানিকগঞ্জ আসার পর থেকে তার স্বামী তার উপর নির্যাতনের মাত্র আরো বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে তার স্বামী তাকে তালাক দেয়। এই ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী নির্যাতনের একটি অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় তাদের পুনঃরায় বিয়ে হয়। কিন্তু পুনঃরায় বিয়ে হলেও তার স্বামী গোপনে ওই নারীকে নিয়ে ঢাকায় হোটেলে রাত্রীযাপন করতে থাকে।
বিষয়টি জানার পর তার স্বামী রবিউল ওই নারীকে বিয়ে করবে মর্মে তার কাছে ২০ আগস্ট ২০২২ সালের তারিখ দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর চান। তিনি ওই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না দেওয়ার কারনে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের মাত্র আরো বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে দ্বিতীয় বিয়ে জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সেই সাথে ওই নারীকে সে গোপনে বিয়ে করে। এখন আমি তাকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দিলে তার চাকুরি চলে যাবে। এর জন্য সে ব্যাগ ডেট তারিখে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাচ্ছেন। স্বামীর দেওয়া এমন শর্তে দ্বিতীয় বিয়ে অনুমতি না দেওয়াতে গত মাস থেকে তিনি সন্তান ও তার কোনো ভরনপোশন দিচ্ছেন না। তিনি বাবার বাড়িতে যাওয়ায় মানিকগঞ্জের ভাড়াটিয়া বাসায় তালালাগিয়ে দেন। পরে তিনি ভাড়াটিয়ার সাহায্যে ওই বাসার তালা খুলেছেন।
পাপিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে সে সংশোধন করার জন্য চেস্টা করেছেন। কিন্তু সে সংশোধন হয়নি। সে একজন নারী লোভি নরপশু। পিটিআইতে চাকুরি করার কারণে অনেক শিক্ষিকদের সাথে তার স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে। ফুলগাজী পশ্চিম বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের কারণে স্বামী তার গর্ভের সন্তান এ্যাবোসন করেছে। শুধু মাত্র দ্বিতীয় বিয়ের অনুমোতি না দেওয়ায় স্বামীর দ্বারা শারীরিক ও মানুষিক ভাবে এতো নির্যাতনের সহ্য করতে হচ্ছে। এখন আমার একটাই দাবি আমার সন্তান যেন তার বাবা ও পরিবার না হারায়।
এব্যাপারে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আওয়ালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , পাপিয়া আক্তার এখন আমার স্ত্রী নয়। সে অবাধ্য হওয়ার কারণে গত মাসে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে অনুমতি না দেওয়ার কারণে তালাক দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন আর দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন নেই।পাপিয়া একজন সন্দেহপ্রবন নারী। সে অফিসে এসে তার সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করেছে। এধরনের মানুষের সাথে সংসার করা যায় না। তবে তিনি ওই নারীকে বিয়ে করেন নি বলে দাবি করেছেন।
তবে ওই কর্মকর্তা তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও তার স্ত্রীর সাথে কথোপথনের একটি অডিও রয়েছে। তাতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন ।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ