মোঃ চঞ্চল মাহমুদ খান, নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রযুক্তির উৎকর্ষে ডাক বিভাগের অসংখ্য সেবা ডিজিটালাইজ হলেও সাড়ে আট হাজার পোস্ট অফিসে নিয়োজিত তেইশ হাজার কর্মচারীর রয়েছে বিশাল বৈষম্যে। সরজমিনে মানিকগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের হিসাবাধিন শিবালয় থানার তেওতা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মোঃ আবুল কালাম আজাদ ইডি সাব পোস্ট মাষ্টারের সাথে হলে তিনি জানান, ইডি সাব পোস্ট মাস্টার মাসিক সর্বসাকুল্যে ৫৮৪১ টাকা, ইডি ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার ৪৪৬০ টাকা, ইডি পোস্টম্যান ৪৩৫৪ টাকা, ইডি রানার ৪১৭৭ টাকাসহ ইডি নাইট গার্ড ইডি পাম্প অপারেটর ইডি ঝাড়ুদারসহ অন্যান্য ইডি কর্মচারী মাসিক ৪০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই সামান্য টাকায় তারা অমানবিক জীবনযাপন করছেন। তিনি আরও জানান বিভাগীয় একজন সাব পোস্ট মাস্টার ১৪ গ্রেড পোস্টাল অপারেটর ১৫ গ্রেড পোস্টম্যান ১৭ গ্রেডসহ অন্যান্য কর্মচারী ২০ গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। একই কাজ করে তারা চড়ম বৈষম্যের স্বীকার। ডাক দ্রবাদি ইস্যু ও বিলিতে বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ইডি কর্মচারীদের অবদান উল্লেখ করে উক্ত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তর আবেদন জানান।
কিছু সেবা গ্রহিতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেওতা একাডেমির (অব:) শিক্ষক অজয় চক্রবর্তী তিনিও বলেন ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাক বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম, বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনা করে ইডি কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি সসরকারকে মেনে নেওয়ার জন্য আহবান করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho