০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে আ’লীগের ৫ পদধারী নেতাকে হারিয়ে বিজয়ী হলেন আবদুল লতিফ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:১৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে  আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ৫ পদধারী নেতাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য, আওয়ামী লীগের সক্রিয় সমর্থক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে বারটার দিকে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৪৮ টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষে, ২১শে মে মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

আবদুল লতিফ আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের আশির্বাদপুষ্ট ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়েছে পরাজিত হয়েছেন।

অপর পরাজিতরা হলেন,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও  সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ৩৫৭৩৭।  তিনি গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে সংসদ সদস্য  বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে ছিলেন।

 উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন(কৈ মাছ প্রতীক) পেয়েছেন ১৪৯৪৫ ভোট। এ ছাড়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সুধীর চৌধুরী( হেলিকপ্টার প্রতীক) পেয়েছেন ৯৮৯৬ ভোট ।

অন্যদিকে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও  উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক দুই বারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান  অ্যাড. সোহানা জেসমিন মুক্তা (দোয়াত কলম)  ৪৪৫৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি তরুণ ছাত্র নেতা জুয়েল রানা (বই প্রতীক) ৫২,৩০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন (চশমা)  ৪৪৮৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

এছাড়াও সংরক্ষিত  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আফরোজা আক্তার। তিনি (বৈদ্যতিক ফ্যান প্রতীকে) ভোট পেয়েছেন ৫৭৫৮৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী আন্নিছা হাসেম লাবলী (প্রজাপতি) ভোট পেয়েছেন ২৮৪৯০।

ধামরাই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল  ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১ শত ৪৭। মোট ভোট পড়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৬ টি। এরমধ্যে  বৈধ ছিল ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪শত ৩৫টি এবং বাতিল হয়েছে ১১ হাজার ৬শত ৬১টি ভোট।

সাধারণ ভোটাররা জানান, দলীয় কোন প্রতীক না থাকায় এবং প্রভাবমুক্ত ও ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকার কারণে যার যার প্রছন্দের ব্যক্তি বা প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পেরেছেন।

এ নির্বাচনে ছিল না কোন দলীয় প্রভাব।  ছিল না কোন  বাধ্য বাধকতা। তবে বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী লোভে পড়ে দলের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা  ছিলেন।

About Author Information

জনপ্রিয়

ধামরাইয়ে আ’লীগের ৫ পদধারী নেতাকে হারিয়ে বিজয়ী হলেন আবদুল লতিফ

প্রকাশের সময়ঃ ১০:১৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে  আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ৫ পদধারী নেতাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য, আওয়ামী লীগের সক্রিয় সমর্থক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে বারটার দিকে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৪৮ টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষে, ২১শে মে মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

আবদুল লতিফ আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের আশির্বাদপুষ্ট ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়েছে পরাজিত হয়েছেন।

অপর পরাজিতরা হলেন,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও  সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ৩৫৭৩৭।  তিনি গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে সংসদ সদস্য  বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে ছিলেন।

 উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন(কৈ মাছ প্রতীক) পেয়েছেন ১৪৯৪৫ ভোট। এ ছাড়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সুধীর চৌধুরী( হেলিকপ্টার প্রতীক) পেয়েছেন ৯৮৯৬ ভোট ।

অন্যদিকে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও  উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক দুই বারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান  অ্যাড. সোহানা জেসমিন মুক্তা (দোয়াত কলম)  ৪৪৫৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি তরুণ ছাত্র নেতা জুয়েল রানা (বই প্রতীক) ৫২,৩০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন (চশমা)  ৪৪৮৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

এছাড়াও সংরক্ষিত  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আফরোজা আক্তার। তিনি (বৈদ্যতিক ফ্যান প্রতীকে) ভোট পেয়েছেন ৫৭৫৮৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী আন্নিছা হাসেম লাবলী (প্রজাপতি) ভোট পেয়েছেন ২৮৪৯০।

ধামরাই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল  ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১ শত ৪৭। মোট ভোট পড়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৬ টি। এরমধ্যে  বৈধ ছিল ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪শত ৩৫টি এবং বাতিল হয়েছে ১১ হাজার ৬শত ৬১টি ভোট।

সাধারণ ভোটাররা জানান, দলীয় কোন প্রতীক না থাকায় এবং প্রভাবমুক্ত ও ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকার কারণে যার যার প্রছন্দের ব্যক্তি বা প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পেরেছেন।

এ নির্বাচনে ছিল না কোন দলীয় প্রভাব।  ছিল না কোন  বাধ্য বাধকতা। তবে বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী লোভে পড়ে দলের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা  ছিলেন।