০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে ছাত্রকে বলাৎকার মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:২৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার তালতলা গ্রামের মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা হয়েছে মাদ্রাসাটির শিক্ষককের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৩ জুন) অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবুল কালাম (৩০)। তিনি উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নেট আফসারখিল গ্রামের হাছেন গাজী বেপারী বাড়ীর আবুল কাশেম এর ছেলে। বর্তমানে চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধামালিয়া গ্রামে বসবাস করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রদের সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রদের বলৎকার করতো । গত শনিবার ভুক্তভোগী তাদের বাড়িতে গিয়ে মাদ্রাসায় আসতে না চাওয়ার কারণ চানতে চাইলে বলৎকারের বিষয়টি বের হয়ে আসে।

ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে শিক্ষক আবুল কালাম আমাকে তার শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে।’

এলাকাবাসী রোববার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম ধরে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, ‘এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করে নিয়ে আসে। ভিকটিমের অভিভাবক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।’

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে ৮ বছরের শিশুর মরদহ উদ্ধার 

নোয়াখালীতে ছাত্রকে বলাৎকার মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

প্রকাশের সময়ঃ ১০:২৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার তালতলা গ্রামের মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা হয়েছে মাদ্রাসাটির শিক্ষককের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৩ জুন) অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবুল কালাম (৩০)। তিনি উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নেট আফসারখিল গ্রামের হাছেন গাজী বেপারী বাড়ীর আবুল কাশেম এর ছেলে। বর্তমানে চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধামালিয়া গ্রামে বসবাস করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রদের সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রদের বলৎকার করতো । গত শনিবার ভুক্তভোগী তাদের বাড়িতে গিয়ে মাদ্রাসায় আসতে না চাওয়ার কারণ চানতে চাইলে বলৎকারের বিষয়টি বের হয়ে আসে।

ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে শিক্ষক আবুল কালাম আমাকে তার শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে।’

এলাকাবাসী রোববার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম ধরে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, ‘এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করে নিয়ে আসে। ভিকটিমের অভিভাবক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।’