আজ ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং

কাশিমপুর কারাগারের হিসাব রক্ষক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার- ২

আব্বাসী,স্টাফ রিপোর্টার (মানিকগঞ্জ) : কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাব রক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খান হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত অরও ৩ জনকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে ।
গতকাল রোববার (২৩ জুন) বেলা আড়াইটায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের আনিস শেখের ছেলে মিস্টার আলী (২৩) এবং একই গ্রামের মো. এখলাছ শেখের ছেলে মো. শাহীন। সম্পর্কে
এরা দুজন আপন চাচাতো ভাই। পেশাই একজন বাস চালক অপরজন হেলপার।
নিহত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাব রক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ভাজনদাসগাথী এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, আসামি মিস্টার আলী শুকতারা পরিবহন নামে একটি বাসের চালক। আর ঐ বাসের হেলপার শাহীন । এরাসহ আরও তিনজন মোট পাঁচজন মিলে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতি করবে বলে পরিকল্পনা করে। ডাকাতির পরকল্পনা নিয়েই গত রোববার (ঈদের আগের দিন ১৫ জুন) সন্ধ্যার পর ঢাকার গাবতলি বাসট্যান্ড থেকে শুকতারা পরিবহনের একটি মিনি বাস ( শুকতারা পরিবহন) যাহার রেজিনং- ঢাকা মেট্রো- জ- ১৬-১০৯২
এ যাত্রী উঠায়ে মানিকগঞ্জের দিকে আসে। বাসটি নবীনগর এলাকায় আসলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাব রক্ষক মো.শহিদুল ইসলাম খান মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসার জন্য ওই বাসে উঠেন।
বাসটি মানিকগঞ্জে পৌছানোর আগে কালামপুর, বলিয়ামপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে অনেক যাত্রী নেমে যায়। মো. শহিদুল ইসলামসহ আর এক জন যাত্রী বাসে থাকে। এসময় তারা ওই দুই যাত্রীর উপর হামলা চালায়ে টাকা-মোবাইল ফোন ডাকাতি করে।
এরপরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের মেঘ শিমুল এলাকার জাগীর ধলেশ্বরী ব্রীজে উঠার আগে অজ্ঞাত ওই যাত্রীকে বাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাব রক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানকে ব্রীজের পশ্চিম পাশে ব্রীজ থেকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, ঈদের দিন সকালে জাগীর ব্রিজের নিচ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাব রক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানের মৃতদেহ উদ্ধার করি। এঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় মেয়ে মাহিশা মালিহা বিভা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল শনিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মো. শহিদুল ইসলাম খানকে ব্রীজ থেকে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে তারা। আসামিদের কাছ থেকে মো. শহিদুল ইসলামের মোবাইফোনসহ ৩টি ফোন ও ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এঘটনায় অজ্ঞাত বাসে থাকা ওই যাত্রীর এখনো যায়নি খোঁজ পাওয়া
। তবে পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা পুলিশ চালিছে যাচ্ছে বলে ও জানান তিনি।
উল্লেখ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হিসাব রক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ভাজনদাসগাথী এলাকায়। এর আগে তিনি মানিকগঞ্জ কারাগারে চাকরি করতেন। সে কারনে এই শহরের গঙ্গাধর পট্রি বনগ্রাম আবাসিক এলাকায় তার পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। পরে বদলি হয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তিনি। কিন্তু তার পরিবার মানিকগঞ্জেই থাকেন। সে কারনে পরিবারের সাথে ঈদ করতে মানিকগঞ্জে আসছিলেন তিনি।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ