নিজস্ব প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলা তেওতা ইউনিয়নে পদ্মা ও যমুনা নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত শত বছরের প্রাচীন গ্রাম সমেজঘর ও নিহালপুর এখন নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। নদীর পারেই ষাটোর্ধ্ব আলেয়া বেগমের ঘর। নদীভাঙনে ঝুঁকিতে রয়েছেন আরো হাজারো বাড়িঘর। তবে গত ৪ জুলাই ২০২৪ইং আলেয়ার ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘বড় বড় ফাটা (ফাটল) আর ভাঙা। বাড়ির মায়ায় ফাটা দেইখা–ও ডরাইয়া (ভয়ে) ঘরে আইলাম। এত বছর নদীর ভাঙনে ডরায় ছিলাম এখন সব শ্যাষ!’ আলেয়ার মতো শতাধিক মানুষের ঘর গত কয়েক দশকে পদ্মা ও যমুনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব বাসিন্দার অবস্থান মানিকগঞ্জ জেলা শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে।
আলেয়া বেগম বলেন , ঘর হারিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে তিনি এখন কি খাবেন এবং কোথায় থাকবেন। সব হারিয়ে এখন তিনি নিঃস্ব।
শুধু তিনিই নয়, তার আশপাশের মানুষ আমির মাস্টার, আইয়ুব খান, আসান ফকির, মোঃ দেলোয়ারসহ ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত শুক্রবারে সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনা ও পদ্মা নদীর দক্ষিণ পারে অবস্থিত চরাঞ্চল ও নদীর পাড়ঘেষা বাড়িঘর নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গৃহপালিত পশু নিয়ে এখন কোথায় বসবাস করবে তারা নিজেরাও জানেন না। বসতভিটা হারিয়ে অনেক পরিবার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের সামর্থ্য নেই তারা কান্নাকাটি করে সরকারী সহযোগিতা চাচ্ছেন।
মাননীয় এমপি মহোদয় সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ এবং স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধিদের কাছে আলেয়া বেগমসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জোড় দাবি জানান খুব দ্রুত তাদের পাশে এসে আর্থিক অনুদান এবং নদীভাঙনরোধ নিয়ে কাজ করতে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত মানিকগঞ্জ ১ আসনের এমপি মহোদয় গরিব মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন এবং তাদের আপদ-বিপদে পাশে থাকেন। মাননীয় এমপি মহোদয় তাদের বিপদে থাকতে দিবে না এই আস্থা আছে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।