নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার আশুলিয়ায় বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে ওয়েস্কা আইডিবি জাপান বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্বাস নিশ্চিত করেন ওয়েস্কা আইডিবি (জাপান) বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিঃ টাতসুয়ো কোসুগী (জাপানিজ)। এর আগে গেল ৬ই আগস্ট গভীর রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থিত ওই সংস্থার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে প্রায় ৩ বিঘা জমি দখল করে নেয় দখলদাররা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মধ্য গুমাইলের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা মালেক মন্ডলের নেতৃত্বে বাছেক মন্ডল, আব্দুল বারেক মন্ডলের ছেলে সাজু মন্ডল, ইয়াকুব আলী মন্ডল, নজরুল ইসলাম মন্ডল এবং আরো অনেকে রাতের অন্ধকারে ওয়েস্কা আইডিবি জাপান বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ৩ বিঘার মতো জমিতে সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে দখল করে। এনিয়ে তারা প্রথমে একটি মামলা করলে আদলত তা খারিজ করে দেয়। এরপরে একটি বাটোয়ারা মামলা করে। তা চলমান থাকতে কিভাবে বাউন্ডারির দেয়াল ভাংগে ও জমি দখল করে এটা আমাদের বুঝে আসে না।
স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানি ওই জমির দাবিদারের বাপ চাচারা তাদের জমি আগেই জাপানি সংস্থার কাছে বিক্রি করেছে। এখন তারা এই জমি তাদের বলে কিভাবে দাবী করে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে ওয়েস্কা আইডিবি (জাপান) বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিঃ টাতসুয়ো কোসুগী (জাপানিজ) বলেন, ওয়েস্কা আইডিবি জাপান বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাটি ১৯৮১ সালে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত হয়েছে। এখানে আমাদের মোট জমি রযেছে ১৪.৫ যার ট্যাক্স প্রতিবছর সরকারকে পরিশোধও করে আসছি। ওয়েস্কা ট্রেনিং সেন্টার এ বেকার যুবকদের নিয়ে অর্গানিক সবজি চাষ, মাছ চাষ, মুরগি পালন এবং গবাদি পশু পালন করা হয়। উৎপাদিত পণ্যের কিছু অংশ বিক্রি করা হয়, যেন মানুষ স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেতে পারে। এছাড়াও এখানে সরকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যেখানে মেয়েরা ট্রেনিং করছে। আমরা খুব আতঙ্কিত যে কোন সময় এখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এর দ্বায় কে নিবে। আমরা জাপান এম্বাসি সহ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মালেক মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাউন্ডারি ভাংগা ও দখলের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবার কিছু সম্পত্তি ওখানে ছিলো। তা আমি তাদের কাছে বিক্রি করে দেয়েছি। ওখানে আমার ফুফুর একটা অংশ রয়েছে। তার ছেলে মেয়েরা পাবে। ওখানে আমি কোন জমি পাব না, আর এই ঘটনায় ছিলাম না।
এ বিষয়ে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক বিএনপির সংসদ সদস্য দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবুর কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।