-
- সারাদেশ
- মানিকগঞ্জে সেনা সদস্যের নালিশী জমি দখলের চেষ্টা, বাড়ি-ঘর পুড়ানোর হুমকি
- প্রকাশের সময়ঃ আগস্ট, ১৯, ২০২৪, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
- 264 বার পড়া হয়েছে
মো: আনোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাইকরা এলাকায় সেনা সদস্যের পৈত্তিক নালিশী জমিতে ছাপড়া ঘর তুলে দখলের চেষ্টা ও বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। ৫ই আগস্টে সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিপক্ষের লোকজন এইসব ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই সেনা সদস্য অভিনয় কুমার সাহা।
খবর পেয়ে সেনা বাহিনীর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গিয়ে ছাপড়া ঘর ভেঙে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিলেও তা করা করেননি প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় শিবালয় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেনা সদস্য।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ওয়ারিশান হিসেবে পাইকরা মৌজার ৫৯ আরএস খতিয়ানের ১২১ দাগে ২৭ শতাংশ জমির কাতে ১৩ শতাংশ জমি অভিনয়ের পিতা অমরেশ কুমার সাহা ও চাচা সমর কুমার সাহা নিজ নামে খারিজ ও হাল সনেরও খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এই জমির কিছু অংশ ভুলে এএস রেকর্ডে স্থানীয় মালেক মোল্লার (৫০) পূর্বপুরুয়ের নামে হয়। কিন্তু, সিএস ও বর্তমানে দাপ্তরিকভাবে স্বীকৃত আরএস রেকর্ডে তা সঠিক রয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা রয়েছে। এই মোকদ্দমা নিষ্পত্তি কিংবা রায়ের আগেই প্রতিপক্ষের লোকজন জমিতে ছাপড়া ঘর তুলে দখলের চেষ্টা করা ও বাড়ি-ঘর জ্বালানোর হুমকি দেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তারা।
অভিনয় কুমার সাহা অভিযোগ করে বলেন, ‘ আমি সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছি। তারপরও আমরা সংখ্যালঘু পরিবার। ৫ই আগস্ট দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ মালেক মোল্লা (৫০), মো. আলমগীর মোল্লা (৪০) ও জুয়েল মোল্লাসহ (৪২) তাদের লোকজন সুযোগ নিয়েছেন। স্থানীয় বাবু মোল্লা, রুকমান মোল্লা, মোহাম্মদ মোল্লা ও মধু মিয়া তাদের এসব কাজে সহযোগিতা করেছেন। সন্ধ্যার পর থেকে রাত একটার মধ্যে সেখানে ছাপড়া ঘর তুলেছেন এবং আমার পরিবারের লোকজনকে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যান। সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিপক্ষের লোকজন ছাপড়া ঘর সড়িয়ে নেয়ার কথা বললে পরে তা করেননি। প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন । এ ঘটনায় শিবালয় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, ওই জমি কয়েক পুরুষ ধরে অমরেশ ও সমর পরিবারের লোকজন ওয়ারিশানভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। বছর খানেক ধরে মালেক ও তাদের পরিবারের লোকজন জমিটি দাবি করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসী বসে সুরাহার চেষ্টাও করেছেন। মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মালেক ও তার লোকজন জমিটিতে ছাপড়া ঘর তোলেছেন।
স্থানীয় হাসান আলী মাদবর জানান, এরআগে ২/৩ বার স্থানীয়ভাবে আমিন এনে জমিটি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সীমানা পিলার সেখানে থাকেনি।
এ ব্যাপারে জুয়েল মোল্লা ও মালেক মোল্লার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা হয়। তারা আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা চলমান ও জমিতে ছাপড়া ঘর তোলেছেন বলে স্বীকার করেছেন। কাগজপত্রে জমিটি তাদের পূর্বপুরুষদের রয়েছে দাবি করেন। এই কাগজপত্র দেখাতে চেয়েও দেখাননি তারা।
শিবালয় থানার ওসি রউফ সরকার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিভাগের আরও সংবাদ