সংবাদ সন্মেলনে জেলার সমন্বয়ক ও সাধারন শিক্ষার্থীরা বলেন, মানিকগঞ্জে সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা সবাই একসাথে মিলে দেশ গঠনের কাজ করে যাচ্ছি।শুধু ছাত্র মজলিশের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ,মোঃ রমজান ,মেহরাব সহ ৪/৫ জন আমাদের সকলের মতামতের বিরুদ্ধে নানান ধরনের বির্তকিত কাজ করে যাচ্ছে।ওমর ফারুক নিজেকে প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ফায়দা লুটছে। তিনি নাকি আগামীতে এমপি নির্বাচন করবেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। সে আওয়ামীলীগ নেতা বশির রেজার দোকান-পাট সহ সম্পদ পাহারা দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। এমনকি সাধারন ছাত্রদেরকে তার দলীয় প্রভাবে নেয়ার জন্য নানান অপচেষ্টা করে মূল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছেন।
বক্তারা বলেন,মানিকগঞ্জ জেলার সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ হচ্ছে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ। এই কলেজের শিক্ষার্থীরাই সর্ব প্রথম স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে। তখন আমারা পুরো জেলায় আন্দোলনের গতি ছড়িযে দেই। আমাদের কখনও কোন প্রধান সমন্বয়ক ছিলো না। আমরা কেন্দ্রীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করবো কিন্তু ওমর ফারুক শতকারা ৯৯ ভাগ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে,প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিকট থেকে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে নিজেকে প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা করেছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, শুধু আমরাই এই আন্দোলন করে সফলতা আনি নাই। দেশের বিভিন্ন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল,ব্যক্তিবর্গ সহ দেশের সর্বস্তরের জনগন এই আন্দোলনে শরীক ছিলো।তাই আমাদের এই মহান বিজয় অর্জন হয়েছে।আমরা কোন বিশেষ দলের বিশেষ ব্যক্তির তাবেদারি করার জন্যে আন্দোলন করি নাই।
তাই তারা প্রতারনাকারী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিকট
দাবি করেন । একই সাথে জেলাবাসিকে ওমর ফারুকের প্রতারনা মূলক কর্মকান্ডের বিশেষ সর্তক থাকার আহবান জানান।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,সমন্বয়ক আশিকুর রহমান, রাইয়ান বিন আলম স্বচ্ছ,মোঃ আসাদুল্লাহ্ ,মোঃ সুমন মোল্লা,মোঃ এহসানুর রহমান,খাব্বাব হোসেন ত্বোহা,মাঈশা হোসেন দিশা সহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।