মোঃ আনোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলি, আরুয়া ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় নাগরিকসেবা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সোমবার পরিপত্রে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্বপালন জন্য বলা হলেও এইসব ইউনিয়ন পরিষদে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে সেবা বঞ্চিত হয়ে নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ই আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যায়। এতে সারা দেশের আওয়ামী লীগের নেতা-নেতা-কর্মীরা গা ডাকা দেন। এসব নেতা-কর্মীদের অনেকে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্বপালন করতেন। এদের মতোই উথলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাকিম রহমান খান অনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে স্থানীয় বিএনপি নেতা-নেতা-কর্মী ও জনসাধারণ গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে চেয়ারম্যানদের অপসারণ দাবি করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তারা চেয়ারম্যানদের প্রতিহত করার হুমকিও দেন। এরপর থেকে এক টানা চেয়ারম্যানদের অনোপস্থিত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। নাগরিক সেবা মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া এই চেয়ারম্যানরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে শহীদ রফিক হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইন্সেস, ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও সংশোধন করতে ইউনিয়ন গিয়ে ফিরে এসেছেন। জরুরি কাজে এসব কাগজপত্রের প্রয়োজন তাদের। সময়মতো এসব কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের দপ্তরে জমা না দিলে দীর্ঘ মেয়াদের জটিলতা সৃষ্ট হতে পারে।’
দাপ্তরিক জটিলতা নিরসনে দ্রুত পরিপত্র অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
উথলি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা, শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিরাজ হোসন ও আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পলাশ কুন্ডু সাহা বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা রয়েছে।বিএনপি নেতা কর্মীরা সব সময় খোজ খবর রাখছেন। তারা চেয়ারম্যানদের অপসারণ ও প্রতিহত করবেন। এ অবস্থায় ইউনিয়নগুলোতে কোন নাগরিক সেবা দেয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যার নির্দেশনা দেবেন বলেছেন ইউএনও স্যার।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন,’চেয়ারম্যানদের বিষয়টি ডিসি স্যারকে জানিয়েছি। পরিপত্র অনুযায়ী ডিসি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রত ব্যবস্থা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু করা হবে। ‘