-
- সারাদেশ
- মানিকগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিচার চেয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা
- প্রকাশের সময়ঃ সেপ্টেম্বর, ২৫, ২০২৪, ৫:৪০ অপরাহ্ণ
- 28 বার পড়া হয়েছে
মো. চঞ্চল মাহমুদ খান, স্টাফ রির্পোটার (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় তাকে বিধিমোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা এবং তার আর্থিক ও অন্যান্য দূর্ণীতিসমূহ তদন্ত পূর্বক আইনগত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ববারর আবেদন করেছেন অত্র মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাবেক অধ্যায়নকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাবেক অধ্যায়নকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট ওই অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান কে বিগত ১১/১১/২০১৮ ইং তারিখে তখনকার মাদ্রাসার সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন নিয়োগ বোর্ডে লিখিত পরীক্ষায় ২য় হওয়া ব্যাক্তিকে নিজ দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দান করেন। নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েই তিনি শাসকদলের ছত্রছায়ায় নিজ প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্নসাৎসহ নানা দূর্নীতি, অনিয়ম করেই চলেছেন।
অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, অধ্যক্ষের বিরুদ্দে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগ গৃহীত, অধ্যক্ষের ফাজিল, কামিল, বিএঅনার্স,মাষ্টার্সসহ ৪ টি সনদ জাল, মাদ্রাসার মার্কেটের ভাড়ার টাকা আত্নসাৎ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ও পরীক্ষার ফি এর টাকা আত্নসাৎ, অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার খরচ বেআইনীভাবে মাদ্রাসার তহবিল হতে খরচ, অস্বাভাবিক ও ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্নসাৎ, মাদ্রাসার আসবাবপত্র ক্রয় কমিটির সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন ছাড়াই নিজের মর্জি মাফিক লক্ষ লক্ষ টাকার বিল ভাউচার বানিয়ে টাকা আত্নসাৎ, ছাত্রীদের কমনরুম বন্ধ করে দোকান নির্মানসহ মানিকগঞ্জ শহরে মাদ্রাসার মার্কেটের প্রতিমাসে এক লক্ষ আঠার হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করে আয় ব্যায়ের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজে এককভাবে মর্জি মাফিক ব্যায় করেন এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন তিনি।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে যে অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান যোগদানের পূর্ব হতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে মাদ্রাসা হতে পাঁচ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং বাড়ী ভাড়া প্রদান করা হতো। অধ্যক্ষ গভর্নিং বডির সভায় আলোচনা না করে সকল সদস্যদের অজ্ঞতাসারে শিক্ষক ও কর্মচারীর বাড়ী ভাড়া ৫% কমিয়ে দিয়ে নিজে অতিরিক্ত ১০% বাড়ী ভাড়া কৌশলে রেজুলেশনে অর্ন্তভূক্ত করেছেন। এছাড়াও আরো অনেক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রসাশকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই বিভাগের আরও সংবাদ