০৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের তালিকা ও টাইমলাইন  চাইলেন জামায়াতের আমির

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৬:৫২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাষ্ট্র সংস্কারে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের রোডম্যাপও ব্যর্থ হবে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের তালিকা এবং টাইমলাইন চান জামায়াত আমির।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহনগর দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজনে আইনজীবী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, এই সরকার কী কী সংস্কার করতে চায়, এর তালিকা দিতে হবে এবং এগুলো সংস্কারের টাইমলাইন দিতে হবে। এই সংস্কারের জন্য সবার সঙ্গে বসতে হবে৷

সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,

সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা সুন্দর হবে। ভোটের আগে সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন হলেই কেবল নির্বাচনী রোডম্যাপ সফল হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের রোডম্যাপও ব্যর্থ হবে। আগে রাষ্ট্র সংস্কার, পরে নির্বাচন। এই সরকার কোন কোন সংস্কার করতে চায়, সেগুলোর তালিকা তৈরি করে কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে তার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এজন্য দ্রুত নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপের জন্য সংলাপ করতে হবে।

এ সময় ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান জামায়াত আমির। তিনি বলেন,

ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্বে থাকার অধিকার নেই। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও আছেন। তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

যারা গণহত্যা চালিয়েছেন, যারা আদেশ পালন করেছেন, যারা সহযোগিতা করেছেন– তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না’, যোগ করেন তিনি।

ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনের শহীদরা জাতীয় বীর উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা সবাই বীর। শহীদদের আমরা দলীয় সম্পদ বানাতে চাই না। শহীদরা সবার, জাতির।

তিনি বলেন, শহীদদের টাকা দিয়ে মাপা যাবে না। শহীদদের প্রতি ফোটা রক্তের দাম অকল্পনীয়। তবে তাদের সম্মানজনক সাহায্য করতে হবে। প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে সরকারি চাকরি দিতে হবে, এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই কাজ করতে হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ৭

সংস্কারের তালিকা ও টাইমলাইন  চাইলেন জামায়াতের আমির

প্রকাশের সময়ঃ ০৬:৫২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাষ্ট্র সংস্কারে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের রোডম্যাপও ব্যর্থ হবে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের তালিকা এবং টাইমলাইন চান জামায়াত আমির।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহনগর দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজনে আইনজীবী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, এই সরকার কী কী সংস্কার করতে চায়, এর তালিকা দিতে হবে এবং এগুলো সংস্কারের টাইমলাইন দিতে হবে। এই সংস্কারের জন্য সবার সঙ্গে বসতে হবে৷

সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,

সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা সুন্দর হবে। ভোটের আগে সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন হলেই কেবল নির্বাচনী রোডম্যাপ সফল হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের রোডম্যাপও ব্যর্থ হবে। আগে রাষ্ট্র সংস্কার, পরে নির্বাচন। এই সরকার কোন কোন সংস্কার করতে চায়, সেগুলোর তালিকা তৈরি করে কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে তার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এজন্য দ্রুত নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপের জন্য সংলাপ করতে হবে।

এ সময় ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান জামায়াত আমির। তিনি বলেন,

ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্বে থাকার অধিকার নেই। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও আছেন। তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

যারা গণহত্যা চালিয়েছেন, যারা আদেশ পালন করেছেন, যারা সহযোগিতা করেছেন– তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না’, যোগ করেন তিনি।

ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনের শহীদরা জাতীয় বীর উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা সবাই বীর। শহীদদের আমরা দলীয় সম্পদ বানাতে চাই না। শহীদরা সবার, জাতির।

তিনি বলেন, শহীদদের টাকা দিয়ে মাপা যাবে না। শহীদদের প্রতি ফোটা রক্তের দাম অকল্পনীয়। তবে তাদের সম্মানজনক সাহায্য করতে হবে। প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে সরকারি চাকরি দিতে হবে, এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই কাজ করতে হবে।