নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়লার ব্যবসার আড়ালে তার দখলদারিত্ব আর সন্ত্রাসের রাজত্ব। বিগত সরকারের প্রভাব শালী পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের সাথে সখ্যতা থাকায় শূণ্য হাতে আশুলিয়ায় এসে এখন কোটিপতি সে ওসমান এলাকায় কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব।
ময়লার ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে জায়গা দখল তার নেশায় পরিনত হয়ে যায়। এর জন্য সে গড়ে তোলে সন্ত্রাসী বাহিনী। তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে এ অঞ্চলে অনেকেই নির্যাতনের শিকার। তারি ধারাবাহিকতায় সাভারের জিরানি এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ওসমান বাহিনী। এই হামলায় সাবেক দুই সেনাকর্মকর্তা সহ প্রায় ১০জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল গাজিপুর সিমানায় হওয়ায় কাশিমপুর মেট্রো থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তোভোগী পরিবার।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর থানা পুলিশ।এর আগে গত শনিবার (২১সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই হামলা চালায়।
অভিযুক্ত আসামীরা হলো, বাহিনী প্রধান ওসমান ওরফে ময়লা ওসমান, শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, রায়হান, আব্দুল গনি, রবিউল, ফরহাদ হোসেন, রুহুল আমীন, মাসুদ হোসেন, কালাম, সেলিম, রহমত উল্যাহসহ অজ্ঞাত আরো ৩৫-৪০ জন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাবেক সেনাকর্মকর্তা সুলতান মোহাম্মদ নুরানী ও আসাদুজ্জামান মানিক। অন্যরা হলেন, সালেহ ইকবাল, বাহাউদ্দীন, রিয়াজ, জান্নাত, সিপন, অঞ্জনা, সাদ উদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘটনার পর ওসমান বাহিনীর নামে নামে মামলা দায়ের করার পর তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অদৃশ্য কারনে পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করছে না। বরং বিভিন্ন মাধ্যমে ওসমান বাহিনী তাদের হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী সালেহ ইকবাল জানান, তার ব্যবসায়ী পার্টনার সাবেক সেনাকর্মকর্তা সুলতান মোহাম্মদ নুরানীর সাথে যৌথ মালিকানায় কাশিমপুর থানার পানিশাইল মৌজায় এক একর জমির মালিক তারা। গত পাঁচ বছর আগে অভিযুক্ত ওসমান, শহিদুল ও জাহাঙ্গীর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমিতে থাকা স্কুল ও গোডাউনে ভাংচুর চালায় এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে ও জোরপূর্বক জমিটি দখলে নিতে অপচেষ্টা চালায়।
এ ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের সব রায় সালেহ ইকবালদের পক্ষে আসলে গত শনিবার (২১সেপ্টেম্বর) সকালে তার লোকজন জমিতে সাইন বোর্ড লাগাতে গেলে ওসমান, শহিদুল ও জাহাঙ্গীর ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সালেহ ইকবাল টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওঁৎ পেতে থাকা অন্য আসামীরা সহ অজ্ঞাত আরো লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনাকর্মকর্তা সহ ১০জন রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের ডাক চিৎকারে আত্মীয়-স্বজন সহ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আশুলিয়া ও সাভারের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মুগদা সরকারি হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ওসমানের বাড়ি সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের এলাকায় হওয়ায় এই প্রভাবে জিরানি এলাকায় মাফিয়া তন্ত্র কায়েম করেছে। হারুনের সাথে তার পারিবারিক সখ্যতা রয়েছে। এমন কী হারুনের বাবা ওসমানের বাড়ি বেড়াতেও আসতেন। সেই থেকে ওসমান এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক হয়েছিল।
বর্তমান নবী টেক্সটাইল এলাকায় দেলোয়ারের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকে অভিযুক্ত ওসমান। দেলোয়ার তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছে অনেকে।
এর আগেও একাধিক পত্রিকায় তার দখলদারিত্ব ও হামলা ভাংচুরের খবর প্রকাশিত হয়েছে।