আজ ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে মার্চ, ২০২৫ ইং

উজানে ভারী বৃষ্টি, খুলে দেওয়া হলো তিস্তার ৪৪ জলকপাট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে অস্বস্তিকর গরমের পর টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি ঝরছে। ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝরছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর টানা মাঝারি ধরনের বর্ষণ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শুধু রংপুরেই ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রংপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। অতিবৃষ্টির ফলে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। অব্যাহত এই বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী দুই দিন লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

এসব জেলার নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।

অপরদিকে আগামী তিন দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী চার দিন পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ